বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ দু’বার কোভিড নেগেটিভ আসার পরও রোগীকে করোনা ইউনিটে রাখে ইউনাইটেড হাসপাতাল। আগুনে মৃত ৫ জনের মধ্যে দু’জনের ছিল করোনামুক্তির সনদও। হাসপাতালটিতে করোনা চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতদের স্বজনরা।
বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশেই দায় সারছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার (২৭ মে) রাত ১০টার দিকে হঠাৎ আগুন ধরে যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে।
ইউনাইটেড হাসপাতাল চিকিৎসক রাশেদ আহমেদ শান্ত বলেন, ‘হঠাৎ করেই শুনি অনেক চিল্লাচিল্লির আওয়াজ। তারপর গিয়ে দেখি ইউনাইটেড হাসপাতালের যে ইউনিটটা করোনা চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ সেটিতে আগুন লেগেছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। ৩টি ইউনিটের ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে এক নারী ও চার পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, আইসোলেশন ইউনিটটি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান অতিরিক্ত দাহ্য হওয়ায় এ দুর্ঘটনা।
ডিএমপি গুলশান জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে যেসব উপাদান ছিলো সবই দাহ্য পদার্থ।’
এদিকে মৃতদের স্বজনেরা জানান, তাদের মধ্যে তিনজন করোনা রোগী ছিলেন। এদের একজনের দুই দফা নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও নানা অজুহাতে রাখা হয় আইসোলেশন ইউনিটে। বাকি দু’জনেরও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট জমা দেয়া হয়েছিল।
নিহতদের স্বজনদের একজন বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল আমার আম্মার টেস্ট রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে সরিয়ে উপরে নিয়ে যাবে।’
নিহতদের আরেক স্বজন বলেন, ‘দুইটা স্যাম্পল নিয়েছে দুটোই নেগেটিভ। তখন বলেছিল ছেড়ে দেবে। এরপর দিচ্ছি, দিব করে আর ছাড়েনি।’
অগ্নি নির্বাপণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল তথ্য দিচ্ছে বলেও অভিযোগ স্বজনদের।
এদিকে রাত দেড়টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিজনেস আওয়ার/ ২৮ মে,২০২০/ কমা