ঢাকা , শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনের চক্রান্তকারীদের এখনো বিচার হয়নি

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের পিছনের চক্রান্তকারীদের এখনো বিচার হয়নি। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী বলেছেন, হত্যার পিছনের চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই এসব চক্রান্তকারীদের নাম বেড়িয়ে আসবে। একই সাথে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি দেশ ও মানুষের লক্ষে বঙ্গবন্ধু হৃদয় স্পর্শ কর্ম ও তার ত্যাগ তুলে ধরেন।

“দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারবর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পাশাপাশি নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।”

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আজকের বাংলাদেশ যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তার রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেও এর ভিত্তি প্রস্তর করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার (বঙ্গবন্ধু) হত্যার ২১ বছর পর (১৯৯৬ সাল) যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন এরপরই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে প্রকাশ্যে হত্যাকারীদের বিচার কার্য প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের চক্রান্তকারীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের খুজে বের করতে সরকার কাজ করছে। শুনেছি ইতিমধ্যে এবিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই চক্রান্তকারীদের নাম বেড়িয়ে আসবে। দৃষ্টান্তমূলক বিচারও হবে।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষে কাজও করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এসময়ের মধ্যে দেশকে তিনি ঢেলে সাজিয়েছিলেন। প্রতিটি উন্নয়ন খাতে তিনি অবিস্মরনীয় অবদান রেখেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা নেমে আসে। একারনে ২১ বছর উন্নয়নের উল্টো পথে ছিল দেশ। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। পরে তিনি তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এগিয়ে আসে। তিনি বলেন দেশকে উন্নয়ন করতে হলে দেশ ডিজিটাল করতে হবে। সেই লক্ষে কাজ করেছেন। দেশ আজ সবত্রে ডিজিটালাইজড। এখন স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আশা করছি, এটিও তিনি করতে পারবেন।

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারীদের অধিকার নিয়েও বেশ সচেতন ছিলন। তিনি নারীদেরকে সংসদে ১০টি সংরক্ষিত আসন রেখে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে ৫০টি আসনেে উন্নীত করেছেন। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। এটা পাকিস্থানও জানে।

শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত বা অস্থির শেয়ারবাজারকে কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেবিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার নির্দেশ মতে, শেয়ারবাজারের রেগুলেটরা কাজ করছেন। পূর্বের চেয়ে বর্তমান শেয়ারবাজার ভিত অনেক শক্ত হয়েছে। শেয়ারবাজার উন্নয়নে গতি বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা সামনে দেখতে পারবো।

আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট রিজার্ড ডি রোজারিও, ডিএসইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদ রশিদ লালী, বুলবুল সিকিউরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মির্ধা।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরও ১৬ জন। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, পুত্রবধু রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ ফজলুল হক মণির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলউদ্দীন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

বিজনেস আওয়ার/১৪ আগস্ট, ২০২৩/ এসএস/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনের চক্রান্তকারীদের এখনো বিচার হয়নি

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের পিছনের চক্রান্তকারীদের এখনো বিচার হয়নি। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী বলেছেন, হত্যার পিছনের চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই এসব চক্রান্তকারীদের নাম বেড়িয়ে আসবে। একই সাথে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি দেশ ও মানুষের লক্ষে বঙ্গবন্ধু হৃদয় স্পর্শ কর্ম ও তার ত্যাগ তুলে ধরেন।

“দোয়া মাহফিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবারবর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পাশাপাশি নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।”

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আজকের বাংলাদেশ যেসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তার রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেও এর ভিত্তি প্রস্তর করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার (বঙ্গবন্ধু) হত্যার ২১ বছর পর (১৯৯৬ সাল) যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন এরপরই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে প্রকাশ্যে হত্যাকারীদের বিচার কার্য প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের চক্রান্তকারীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের খুজে বের করতে সরকার কাজ করছে। শুনেছি ইতিমধ্যে এবিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুতই চক্রান্তকারীদের নাম বেড়িয়ে আসবে। দৃষ্টান্তমূলক বিচারও হবে।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সেই লক্ষে কাজও করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এসময়ের মধ্যে দেশকে তিনি ঢেলে সাজিয়েছিলেন। প্রতিটি উন্নয়ন খাতে তিনি অবিস্মরনীয় অবদান রেখেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে বাধা নেমে আসে। একারনে ২১ বছর উন্নয়নের উল্টো পথে ছিল দেশ। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। পরে তিনি তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এগিয়ে আসে। তিনি বলেন দেশকে উন্নয়ন করতে হলে দেশ ডিজিটাল করতে হবে। সেই লক্ষে কাজ করেছেন। দেশ আজ সবত্রে ডিজিটালাইজড। এখন স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আশা করছি, এটিও তিনি করতে পারবেন।

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নারীদের অধিকার নিয়েও বেশ সচেতন ছিলন। তিনি নারীদেরকে সংসদে ১০টি সংরক্ষিত আসন রেখে তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে ৫০টি আসনেে উন্নীত করেছেন। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। এটা পাকিস্থানও জানে।

শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত বা অস্থির শেয়ারবাজারকে কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেবিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার নির্দেশ মতে, শেয়ারবাজারের রেগুলেটরা কাজ করছেন। পূর্বের চেয়ে বর্তমান শেয়ারবাজার ভিত অনেক শক্ত হয়েছে। শেয়ারবাজার উন্নয়নে গতি বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা সামনে দেখতে পারবো।

আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা করেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট রিজার্ড ডি রোজারিও, ডিএসইর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমদ রশিদ লালী, বুলবুল সিকিউরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস শাহুদুল হক বুলবুল, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মির্ধা।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরও ১৬ জন। নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, পুত্রবধু রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ ফজলুল হক মণির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, কর্নেল জামিলউদ্দীন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

বিজনেস আওয়ার/১৪ আগস্ট, ২০২৩/ এসএস/এমএজেড

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: