ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলো তালিবান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • 57

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালিবান প্রশাসন। তাদের দাবি, এই ধরনের কার্যকলাপ ইসলামী আইন বা শরিয়া বিরোধী।

বুধবার (১৬ আগস্ট) তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে কার্যকর থাকা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। তাই এসব দলের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসার দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

তালেবান সরকারে অন্তর্বর্তীকালীন বিচারমন্ত্রী শেখ মৌলভী আব্দুল হাকিম শারায়ে কাবুলে তার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন।

সেখানে এই পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার কোনও শরিয়া ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করে না, দেশবাসীও তাদের পছন্দ করে না।’

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে কট্টরপন্থি এই দলটি। মূলত সেসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে দুই বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বড় ও ছোট রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত ছিল।

ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিরোধী ও সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগতভাবে খর্ব করে এসেছে তালেবান। মূলত তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীটি দারিদ্র-পীড়িত আফগানিস্তানে ইসলামী আইনের কট্টর ব্যাখ্যা জারি করেছে। তারা ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া এবং অধিকাংশ আফগান নারীকে তার কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও প্রকাশ্য জীবন যাপন করা থেকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এছাড়া আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোও ধারাবাহিকভাবে তালেবানের আক্রমণ ও দমন-পীড়নের মুখে রয়েছে। আর এর ফলে বহু সংবাদমাধ্যম ও নিউজ আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং শত শত সাংবাদিক দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০ বছর পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

বিজনেস আওয়ার/১৭ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আফগানিস্তানে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলো তালিবান

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালিবান প্রশাসন। তাদের দাবি, এই ধরনের কার্যকলাপ ইসলামী আইন বা শরিয়া বিরোধী।

বুধবার (১৬ আগস্ট) তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে কার্যকর থাকা শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ভূমিকা নেই। তাই এসব দলের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে কাবুলে ক্ষমতায় ফিরে আসার দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

তালেবান সরকারে অন্তর্বর্তীকালীন বিচারমন্ত্রী শেখ মৌলভী আব্দুল হাকিম শারায়ে কাবুলে তার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন।

সেখানে এই পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ না দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করার কোনও শরিয়া ভিত্তি নেই। তারা জাতীয় স্বার্থে কাজ করে না, দেশবাসীও তাদের পছন্দ করে না।’

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে আসে কট্টরপন্থি এই দলটি। মূলত সেসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বিশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে দুই বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত ৭০টিরও বেশি বড় ও ছোট রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের বিচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত ছিল।

ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিরোধী ও সমালোচকদের দাবিয়ে রাখার জন্য সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতাকে ক্রমাগতভাবে খর্ব করে এসেছে তালেবান। মূলত তারা কেবল তাদের সমর্থকদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীটি দারিদ্র-পীড়িত আফগানিস্তানে ইসলামী আইনের কট্টর ব্যাখ্যা জারি করেছে। তারা ষষ্ঠ শ্রেণির ওপরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া এবং অধিকাংশ আফগান নারীকে তার কর্মক্ষেত্রে যাওয়া ও প্রকাশ্য জীবন যাপন করা থেকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

এছাড়া আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোও ধারাবাহিকভাবে তালেবানের আক্রমণ ও দমন-পীড়নের মুখে রয়েছে। আর এর ফলে বহু সংবাদমাধ্যম ও নিউজ আউটলেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে এবং শত শত সাংবাদিক দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০ বছর পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

বিজনেস আওয়ার/১৭ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: