বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : যাত্রী ও পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বন্ড আইটেমগুলোর বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো এক চিঠিতে আমদানি প্রাপ্যতা কমপক্ষে আড়াই লাখ ডলার করার অনুরোধ জানায় বিমান।
সম্প্রতি বিমানের পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম সই করা চিঠিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের অধিদপ্তর হতে ইস্যুকৃত অবাধ/ব্লাংকেট আমদানি অনুমতি পত্রের বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের আমদানিকৃত পণ্য বন্ডের আওতায় খালাস গ্রহণ করে যা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বা ব্যবহার করে আসছে। আগে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিক্রয়যোগ্য সিগারেটসহ অন্যান্য পণ্যের প্রাপ্যতার প্রয়োজন হয়নি।
তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ থেকে সিগারেট আমদানি করা হলে খালাসের বিপরীতে ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে প্রাপ্যতা চাওয়া হয়। প্রায় তিন লাখ মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুকূলে বিয়াল্লিশ হাজার একশত সাতাশি দশমিক পঞ্চাশ মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ভিআইপি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে বিক্রয়ের জন্য ২৩ হাজার ২৪ দশমিক ১০ মার্কিন ডলারের বন্ডের পণ্য আমদানি করা হয়। যা চলতি বছরের জুনে খালাস করা হয়।
অবশিষ্ট ১৯ হাজার ১৬৩ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার প্রাপ্যতা দিয়ে সিগারেট আমদানির উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রাপ্যতার পরিমাণ কম থাকায় তা সম্ভব হয়নি। কারণ সিগারেট প্যাকেজ হিসাবে আমদানি করা হয়। যার প্রতি প্যাকেজের ন্যূনতম পূর্বমূল্য ২৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে আনুমানিক প্যাকেজ মূল্য ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা সরবরাহকারী ইমেইলে অবহিত করেছে। বছরে সিগারেটের ৬ থেকে ৭টি প্যাকেজ অথবা চালান আমদানির প্রয়োজন হয়।
বিমান ফ্লাইটে যাত্রী সংখ্যা পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সিগারেট ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুকূলে বন্ড আইটেমগুলোর বার্ষিক আমদানি প্রাপ্যতা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কমপক্ষে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/১৮ আগস্ট, ২০২৩/এমএজেড