বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: র্যাগিং আমাদের শিক্ষার্থীদের ট্রমাটাইজ করে, তাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে, এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। তাই একজন শিক্ষার্থীও যাতে র্যাগিংয়ের শিকার না হয় সেজন্য আমরা সজাগ আছি।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২২-২৩ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন এবং র্যাগিং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা জানান এবং নবীন শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ভয় না পাবার আহ্বান করেন।
উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর অনেক নবীন শিক্ষার্থীরা স্বপ্নের ক্যাম্পাসে পা রাখা মাত্রই র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। পাশাপাশি পড়াশোনা ছেড়ে ক্যাম্পাসও ত্যাগ করেন অনেক শিক্ষার্থী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং বা অন্য কোনো উপায়ে হয়রানি নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
তবে বিগত পাঁচ বছর ধরে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করায় এর মাত্রা এখন শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। এবছরও সেই ধারাতেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য আরও বলেন, নতুন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন। তাদের কেউ র্যাগিং বা অন্য কোনো উপায়ে হয়রানি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিগত ছয় বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা র্যাগিং এর ব্যাপারে জিরো-টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এর আগে যারা এমন কর্মকান্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি ও আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ এবং প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এর প্রধানদের র্যাগিং এর বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে থাকার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া আছে। এছাড়া আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষদের নিয়মিত টহল চালু আছে। ক্যাম্পাসে র্যাগিং বিরোধী ব্যানার টানানোর নির্দেশনা দেয়া আছে। শিগগীরই প্রক্টরদের মোবাইল নাম্বার সম্বলিত ব্যানার টানানো থাকবে। সেখানে দায়িত্বশীলদের মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে।। কেউ যদি এমন অবস্থায় পড়ে তাহলে নির্ধারিত নাম্বারে অভিযোগ জানাতে পারবে।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহবান থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে কোনোভাবে যেন হয়রানি না করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/২৮ আগস্ট, ২০২৩/এএইচএ