বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নানা পদক্ষেপেও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রায় ৫ টাকা বেশিতে ডলার বিক্রি হচ্ছে। এমন অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সাত মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বেশি দামে ডলার বিক্রি করার কারন জানতে আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে তলব করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এসব বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, বেশকিছু মানিচেঞ্জার দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে ডলার বিক্রি করছে। কিন্তু তারা বরাবরই বিষয়টি গোপন করে ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন তথ্যের প্রমাণ পাওয়ায় ৭ মানি চেঞ্জারের ব্যবসার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ১০ মানি চেঞ্জারের বেশি দাম রাখার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স স্থগিত করা মানিচেঞ্জার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ। আর ব্যাখ্যা তলব করা ১০ মানিচেঞ্জার হলো– নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ, পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হযরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ ও মাতৃক মানি চেঞ্জার। এছাড়া মতিঝিলের নিয়ন মানি চেঞ্জার এবং পল্টনের জনী ট্রেডার্সের বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়মে, বর্তমানে নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের প্রতি ডলার কিনতে নগদ খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ১১৮ টাকা।
বিজনেস আওয়ার/৩১ আগস্ট, ২০২৩/এমএজেড