বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আল্টিমেটামের পরেও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ (পরিশোধিত মূলধনের) শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৩৭ কোম্পানির মধ্যে এখনো শেয়ার কেনার আগ্রহ তৈরী হয়নি। তবে এই শর্ত পূরণের জন্য বেধে দেওয়া আল্টিমেটামের এখনো ১ মাস (২৭ অক্টোবর পর্যন্ত) সময় বাকি রয়েছে।
তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আগামি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ব্যর্থরা এই নির্দেশনা পরিপালন না করলে, ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
গত ২৯ জুলাই পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে ৬০ কার্যদিবস সময় বেধে দেয় বিএসইসি। এই নির্দেশনা দেওয়ার পরে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ নির্দেশনা পরিপালন করেছে। এছাড়া মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ ও পিপলস ইন্স্যুরেন্সের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা কিছু শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। আর সাউথইস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা উপহার হিসেবে শেয়ার গ্রহণ করেছে।
এখনো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ রয়েছে শেয়ারবাজারের ৪১ কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে- একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, আফতাব অটোমোবাইলস, অগ্নি সিস্টেমস, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, এপেক্স ফুটওয়্যার, এ্যাপোলো ইস্পাত, বারাকা পাওয়ার, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, ডেল্টা স্পিনার্স, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ইমাম বাটন, ইনটেক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইডস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, সালভো কেমিক্যাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কে অ্যান্ড কিউ।
শেয়ারবাজারে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানির মধ্যে বিএসইসি এখনো বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কে অ্যান্ড কিউকে চিঠি দেয়নি। এরপরেও কে অ্যান্ড কিউ উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজনেস আওয়ার/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০/আরএ
One thought on “এখনো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে আগ্রহী হয়নি ব্যর্থরা”