ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানাভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 64

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এখন থেকে ওয়ার্ডের পরিবর্তে থানাভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকারি এ সংস্থাটি।

রোববার (৮ অক্টোবর) বাড্ডা লিংক রোড ও নতুন বাজার এলাকায় ডিএনসিসির চলমান ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অক্টোবর মাসে এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ হচ্ছে। এটি একটি সুন্দর আবহাওয়া এডিস মশার লার্ভা বিস্তারের জন্য। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা আমাদের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড এখন থানায় ভাগ করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমাদের এডিস মশা নিধন কার্যক্রম এখন থানাভিত্তিক চলবে। এতে আমরা বেশি এলাকায় যেতে পারবো এবং মশা নিধন করতে পারবো।

নতুন এই পরিকল্পনা সম্পর্ক তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিটি থানাকে প্রথমে ছয়টি জোনে ভাগ করেছি। আবার এই ছয়টি জোনের প্রতিটিকে ১০ ভাগ করে নিয়েছি। অর্থাৎ প্রতিটি থানাকে ৬০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে আমাদের টিম মশা নিধনের কাজ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জরিপ করবো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেও জরিপ করতে বলবো। জরিপ করার পর যদি আবহাওয়াবিদরা বলেন আবার বৃষ্টি এবং রোদ হতে পারে, তাহলে আমরা আমাদের এ কার্যক্রম আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেবো।

ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতা বলেন, আগে আমরা এ কাজটি ওয়ার্ডভিত্তিক করে আসছিলাম। এখন আমরা এটিকে থানাভিত্তিক করেছি। আজকে আমরা বাড্ডা থানায় এসেছি। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এবং নির্মাণাধীন ভবনে গেলাম। আমরা সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাইনি। সবাই যদি যার যার বাসা পরিষ্কার রাখে, তাহলে আমরা অবশ্যই একটি ভালো সুফল পাবো।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবো, ততবেশি আমরা এডিস মশা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো। অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু নেই এটি আমরা যেন মোটেই না ভাবি। এখনও আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমি জনসাধারণকে অনুরোধ করবো, আপনারা কোথাও পানি জমা দেখলে আমাদের হটলাইনে কল করুন। এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে এখন দেখা যাবে, কোনো ওয়ার্ডে কে মশক সুপারভাইজার, কে সহকারী হেলথ অফিসার, কে ডেপুটি সহকারী হেলথ অফিসার। সবার নাম্বার দেওয়া আছে। এ তথ্য আপনারা (রাজধানী বাসী) ব্যবহার করতে পারবেন।

এ সময় বাড্ডা লিংক রোডে একটি আবাসিক ভবন ও একটি নির্মাণাধীন ভবন এবং নতুন বাজারের একটি ভবন পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/০৮ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

থানাভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এখন থেকে ওয়ার্ডের পরিবর্তে থানাভিত্তিক মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকারি এ সংস্থাটি।

রোববার (৮ অক্টোবর) বাড্ডা লিংক রোড ও নতুন বাজার এলাকায় ডিএনসিসির চলমান ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে এসব তথ্য জানান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অক্টোবর মাসে এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ হচ্ছে। এটি একটি সুন্দর আবহাওয়া এডিস মশার লার্ভা বিস্তারের জন্য। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা আমাদের আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড এখন থানায় ভাগ করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমাদের এডিস মশা নিধন কার্যক্রম এখন থানাভিত্তিক চলবে। এতে আমরা বেশি এলাকায় যেতে পারবো এবং মশা নিধন করতে পারবো।

নতুন এই পরিকল্পনা সম্পর্ক তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিটি থানাকে প্রথমে ছয়টি জোনে ভাগ করেছি। আবার এই ছয়টি জোনের প্রতিটিকে ১০ ভাগ করে নিয়েছি। অর্থাৎ প্রতিটি থানাকে ৬০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে আমাদের টিম মশা নিধনের কাজ করছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এরপর আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জরিপ করবো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেও জরিপ করতে বলবো। জরিপ করার পর যদি আবহাওয়াবিদরা বলেন আবার বৃষ্টি এবং রোদ হতে পারে, তাহলে আমরা আমাদের এ কার্যক্রম আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেবো।

ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতা বলেন, আগে আমরা এ কাজটি ওয়ার্ডভিত্তিক করে আসছিলাম। এখন আমরা এটিকে থানাভিত্তিক করেছি। আজকে আমরা বাড্ডা থানায় এসেছি। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এবং নির্মাণাধীন ভবনে গেলাম। আমরা সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাইনি। সবাই যদি যার যার বাসা পরিষ্কার রাখে, তাহলে আমরা অবশ্যই একটি ভালো সুফল পাবো।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে যত বেশি সম্পৃক্ত করতে পারবো, ততবেশি আমরা এডিস মশা থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো। অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু নেই এটি আমরা যেন মোটেই না ভাবি। এখনও আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমি জনসাধারণকে অনুরোধ করবো, আপনারা কোথাও পানি জমা দেখলে আমাদের হটলাইনে কল করুন। এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে এখন দেখা যাবে, কোনো ওয়ার্ডে কে মশক সুপারভাইজার, কে সহকারী হেলথ অফিসার, কে ডেপুটি সহকারী হেলথ অফিসার। সবার নাম্বার দেওয়া আছে। এ তথ্য আপনারা (রাজধানী বাসী) ব্যবহার করতে পারবেন।

এ সময় বাড্ডা লিংক রোডে একটি আবাসিক ভবন ও একটি নির্মাণাধীন ভবন এবং নতুন বাজারের একটি ভবন পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস আওয়ার/০৮ অক্টোবর, ২০২৩/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: