ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ কেজি মাংস ও ১০০ ডিম খেকো বাবুল মারা গেছেন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 63

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় খাদক বাবুল আক্তার নামে ব্যাপক পরিচিতি সেই ব্যাক্তি সোমবার রাত ১১টায় নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহী—-রজিউন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বাবুল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত খেলাফত উল্লাহ সরকারের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শোনা যায় বাবুলের বাবাও নাকি একজন শক্তিশালী মানুষ ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাবুল আক্তার ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং ১০০টি মুরগির ডিম এক টেবিলে বসে খেয়েছিলেন। তিনি খেতে বসলেই ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের একটি কাঁঠাল নিমিশেই খেতে পারতেন। বিদ্যুতের গতিতে ১১ মন ওজনের কাঁঠের গুল একাই কাঁধে তুলে নিয়ে বহন করতেন। এক দৌড়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতেন স্বাভাবিকভাবে। একটানা ৪ ঘন্টা সাঁতার কেটেও ক্লান্তি বোধ করতেন না। ১২৫ কেজি ওজনের বিশাল দেহ নিয়ে অনায়াসে গাছে উঠে ডাব পেড়ে খেতেন। তবে কারও সাথে বাজি ধরে এ কাজগুলো করতেন না তিনি।

খাদক বাবুল আক্তারের স্ত্রী লাইলা বেগম বলেন, আমার শাশুড়ি বলতেন, সে ১৯৭৩ সালে জন্মের পরপরই নাকি পৌনে এক কেজি করে গরু দুধ পান করতো। তার পর বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি খাবার লাগতো। তিনি প্রাপ্ত বয়সে প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় পাঁচ কেজি গরু মাংস খেতেন। তা না হয়ে যদি ডিম হতো তাহলে ২৫ থেকে ৩০টি মুরগির ডিম দিয়ে নাস্তা করতেন। এটা ছিল তার স্বাভাবিক খাবার। আর কেউ বাজি ধরলে তো কোনো কথা ছাড়াই ১০ থেকে ১৫ কেজি মাংস ও ৫০ থেকে ১০০টি ডিম খেয়ে ফেলতেন। বয়স বৃদ্ধির পর শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে চিকিৎসকের কথা মতো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ‘ভূত রেস্তোরাঁ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং ১০০টি ডিম এক বসাতেই খেয়ে ফেলেছিল। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশও হয়েছিল।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

১৮ কেজি মাংস ও ১০০ ডিম খেকো বাবুল মারা গেছেন

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় খাদক বাবুল আক্তার নামে ব্যাপক পরিচিতি সেই ব্যাক্তি সোমবার রাত ১১টায় নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহী—-রজিউন। দীর্ঘদিন থেকে তিনি কিডনি ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। বাবুল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত খেলাফত উল্লাহ সরকারের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গঙ্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শোনা যায় বাবুলের বাবাও নাকি একজন শক্তিশালী মানুষ ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাবুল আক্তার ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং ১০০টি মুরগির ডিম এক টেবিলে বসে খেয়েছিলেন। তিনি খেতে বসলেই ২০ থেকে ২৫ কেজি ওজনের একটি কাঁঠাল নিমিশেই খেতে পারতেন। বিদ্যুতের গতিতে ১১ মন ওজনের কাঁঠের গুল একাই কাঁধে তুলে নিয়ে বহন করতেন। এক দৌড়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতেন স্বাভাবিকভাবে। একটানা ৪ ঘন্টা সাঁতার কেটেও ক্লান্তি বোধ করতেন না। ১২৫ কেজি ওজনের বিশাল দেহ নিয়ে অনায়াসে গাছে উঠে ডাব পেড়ে খেতেন। তবে কারও সাথে বাজি ধরে এ কাজগুলো করতেন না তিনি।

খাদক বাবুল আক্তারের স্ত্রী লাইলা বেগম বলেন, আমার শাশুড়ি বলতেন, সে ১৯৭৩ সালে জন্মের পরপরই নাকি পৌনে এক কেজি করে গরু দুধ পান করতো। তার পর বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি খাবার লাগতো। তিনি প্রাপ্ত বয়সে প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় পাঁচ কেজি গরু মাংস খেতেন। তা না হয়ে যদি ডিম হতো তাহলে ২৫ থেকে ৩০টি মুরগির ডিম দিয়ে নাস্তা করতেন। এটা ছিল তার স্বাভাবিক খাবার। আর কেউ বাজি ধরলে তো কোনো কথা ছাড়াই ১০ থেকে ১৫ কেজি মাংস ও ৫০ থেকে ১০০টি ডিম খেয়ে ফেলতেন। বয়স বৃদ্ধির পর শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে চিকিৎসকের কথা মতো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ‘ভূত রেস্তোরাঁ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ১৮ কেজি খাসির মাংস এবং ১০০টি ডিম এক বসাতেই খেয়ে ফেলেছিল। যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশও হয়েছিল।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: