বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (নোয়াখালী): নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা করেছে র্যাব। রোববার (০৫ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তারও আগে মো. রহিম ও রহমতুল্লাহ নামে আরো দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে ছড়াছড়ি হওয়ার পর থেকে নোয়াখালীতে ওই নারী তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় রহিম, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা। গত ২ সেপ্টেম্বর তার সাবেক স্বামী গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় অপরিচিত লোক দাবি করে তাকে বেঁধে ফেলে স্থানীয় ঐ বখাটেরা।
পরে ঘরের ভেতর ঢুকে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে চালায় অমানুসিক নির্যাতন। সেই ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে। দোষীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর এক মাস পার হলেও ভয়ে মুখ খুলেনি কেউ। কিন্ত সম্প্রতি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নজরে এলে রোববার অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতেই থানায় পর্ণগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা নারী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরালের পর শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। বর্বর এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন সবাই।
এদিকে, এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। তবে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত দেলোয়ারকে আসামি না করায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
বিজনেস আওয়ার/০৫ অক্টোবর, ২০২০/এ