ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে ট্রল, যা বললেন হারুন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • 110

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিভিন্ন কাজে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে আসেন অনেকেই। তাদের অনেককে ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন সময় এমন ধরনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিবি কার্যালয়কে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ বলে রসিকতা করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে, এসব মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। তারা বলছে, ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ আসলে রসবোধ থেকে বলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ মন্তব্য করেন।

এসময় ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে রসবোধক প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধক জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করে এটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয় যে…ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি।’

‘সেই ব্যক্তি যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান। আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি। শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে এখানে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।’

‘সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সব ধরনের মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে যেহেতু সাধারণ মানুষ আসে তাই আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার উদাহরণ হচ্ছে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারো বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এত আমরা উৎসাহিত হই।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মানুষ এসে কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি… পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে ট্রল, যা বললেন হারুন

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিভিন্ন কাজে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে আসেন অনেকেই। তাদের অনেককে ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন সময় এমন ধরনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিবি কার্যালয়কে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ বলে রসিকতা করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে, এসব মন্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। তারা বলছে, ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ আসলে রসবোধ থেকে বলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ মন্তব্য করেন।

এসময় ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে রসবোধক প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধক জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করে এটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয় যে…ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি।’

‘সেই ব্যক্তি যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান। আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি। শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে এখানে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।’

‘সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সব ধরনের মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে যেহেতু সাধারণ মানুষ আসে তাই আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার উদাহরণ হচ্ছে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারো বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এত আমরা উৎসাহিত হই।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মানুষ এসে কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি… পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।’

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: