ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 53

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবেসেই গায়িকা-সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। ২০১৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি। যেই সংসারের স্থায়ীত্ব হয়েছিল ৬ বছর। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর হঠাৎ এক টুইটে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অনুপম।

সংগীত তারকার বিচ্ছেদের খবর বেশ চমকে দেয় ভক্তদের। যদিও দীর্ঘ দিনের পথচলার পর কেন আলাদা হয়ে যান অনুপম ও পিয়া, সে বিষয়ে তখন কিছুই বলেননি। তবে এর মাস খানেক পরেই ২০২২ সালে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কথা বলেন অনুপম।

যেখানে তিনি জানান, পিয়া ছিলেন তার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যার সঙ্গে বিচ্ছেদকে জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি বলে মনে করেন এই গায়ক।

অনুপম রায় বলেন, ‘পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। আমার পাশে আমার বাবা-মা ও বন্ধুরা রয়েছে। কিন্তু আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ ব্যক্তিকে হারিয়ে ফেলেছি। আমার ৩৯ বছর বয়সে এরকম বড় কিছু জীবন থেকে হারাইনি। বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর অনেক মানুষ আমাকে কল করেছেন; কেউ-ই এমনটা প্রত্যাশা করেননি। অনেকে প্রশ্ন করেছেন— এটা কেন করলেন? তাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না বা বাস্তবসম্মতও মনে হয়নি। কিন্তু এটি ঘটেছে এবং শেষ হয়েছে।’

বিচ্ছেদের ওই সময় কতটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অনুপম, সেটাও জানিয়েছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে। গায়ক বলেন, ‘২০২১ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে আমার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু বাবা-মা পাশে ছিলেন। আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষজনও পাশে ছিলেন। আমার বন্ধুরা এখনো আমার পাশে আছে। ৩৯ বছর বয়সে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা কঠিন, এটা কলেজ জীবনের কোনো বিচ্ছেদ নয়।’

অনুপমের এর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। সে সংসারও টেকেনি। কিন্তু পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিল। এই গায়কের ভাষায়, ‘আমার আগের বিয়েবিচ্ছেদের সঙ্গে যথেষ্ট লজিস্টিক এবং আইনি চাপ ছিল। কিন্তু এটার (পিয়া) মতো মানসিক আঘাত ছিল না। কারণ পিয়া আমার জীবনের ভালোবাসা ছিল। আমাদের এক দশকের সম্পর্ক ছিল, পিয়ার মতো কাউকে এতটা ভালোবাসিনি।’

প্রসঙ্গত, অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী একজন সমাজকর্মী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী। আবার গায়িকাও। যদিও অনুপম রায়ের স্ত্রী হিসেবেই ভক্তমহলে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তবে ২০২১ সালে অনুপমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই সেই পরিচিতি বদলে যায়।

এরপর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিয়ার প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায়। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতাও ছিলেন ব্যাচেলর। করোনা মহামারি শুরুর দিকে পরমব্রতর সঙ্গে পিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। লিভ-ইন সঙ্গী প্রেমিকা ইকার সঙ্গে পরমব্রতর যখন দূরত্ব বাড়ছিল, ঠিক সেই সময়ে আরও কাছে চলে আসে দু’জন।

এরপর সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আনেন পিয়া-অনুপম। নেপথ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে তখন উঠে আসে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। যদিও অভিনেতা সেই দাবিকে মিথ্যা বলে অস্বীকার করেন। এরপর নতুন করে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আর আলোচনা হয়নি। প্রায় দুই বছর পর সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবেই বিয়ে করে নিলেন এই জুটি। এরপর থেকেই পিয়াকে নিয়ে অনুপমের পুরোনো সাক্ষাৎকারটি বেশ ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি

পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: ভালোবেসেই গায়িকা-সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। ২০১৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি। যেই সংসারের স্থায়ীত্ব হয়েছিল ৬ বছর। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর হঠাৎ এক টুইটে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন অনুপম।

সংগীত তারকার বিচ্ছেদের খবর বেশ চমকে দেয় ভক্তদের। যদিও দীর্ঘ দিনের পথচলার পর কেন আলাদা হয়ে যান অনুপম ও পিয়া, সে বিষয়ে তখন কিছুই বলেননি। তবে এর মাস খানেক পরেই ২০২২ সালে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কথা বলেন অনুপম।

যেখানে তিনি জানান, পিয়া ছিলেন তার জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যার সঙ্গে বিচ্ছেদকে জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি বলে মনে করেন এই গায়ক।

অনুপম রায় বলেন, ‘পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। আমার পাশে আমার বাবা-মা ও বন্ধুরা রয়েছে। কিন্তু আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ ব্যক্তিকে হারিয়ে ফেলেছি। আমার ৩৯ বছর বয়সে এরকম বড় কিছু জীবন থেকে হারাইনি। বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর অনেক মানুষ আমাকে কল করেছেন; কেউ-ই এমনটা প্রত্যাশা করেননি। অনেকে প্রশ্ন করেছেন— এটা কেন করলেন? তাদের এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না বা বাস্তবসম্মতও মনে হয়নি। কিন্তু এটি ঘটেছে এবং শেষ হয়েছে।’

বিচ্ছেদের ওই সময় কতটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অনুপম, সেটাও জানিয়েছিলেন ওই সাক্ষাৎকারে। গায়ক বলেন, ‘২০২১ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে আমার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু বাবা-মা পাশে ছিলেন। আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষজনও পাশে ছিলেন। আমার বন্ধুরা এখনো আমার পাশে আছে। ৩৯ বছর বয়সে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা কঠিন, এটা কলেজ জীবনের কোনো বিচ্ছেদ নয়।’

অনুপমের এর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। সে সংসারও টেকেনি। কিন্তু পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিল। এই গায়কের ভাষায়, ‘আমার আগের বিয়েবিচ্ছেদের সঙ্গে যথেষ্ট লজিস্টিক এবং আইনি চাপ ছিল। কিন্তু এটার (পিয়া) মতো মানসিক আঘাত ছিল না। কারণ পিয়া আমার জীবনের ভালোবাসা ছিল। আমাদের এক দশকের সম্পর্ক ছিল, পিয়ার মতো কাউকে এতটা ভালোবাসিনি।’

প্রসঙ্গত, অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী একজন সমাজকর্মী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী। আবার গায়িকাও। যদিও অনুপম রায়ের স্ত্রী হিসেবেই ভক্তমহলে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তবে ২০২১ সালে অনুপমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই সেই পরিচিতি বদলে যায়।

এরপর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পিয়ার প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায়। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতাও ছিলেন ব্যাচেলর। করোনা মহামারি শুরুর দিকে পরমব্রতর সঙ্গে পিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। লিভ-ইন সঙ্গী প্রেমিকা ইকার সঙ্গে পরমব্রতর যখন দূরত্ব বাড়ছিল, ঠিক সেই সময়ে আরও কাছে চলে আসে দু’জন।

এরপর সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আনেন পিয়া-অনুপম। নেপথ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে তখন উঠে আসে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। যদিও অভিনেতা সেই দাবিকে মিথ্যা বলে অস্বীকার করেন। এরপর নতুন করে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আর আলোচনা হয়নি। প্রায় দুই বছর পর সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবেই বিয়ে করে নিলেন এই জুটি। এরপর থেকেই পিয়াকে নিয়ে অনুপমের পুরোনো সাক্ষাৎকারটি বেশ ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: