বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরি ১৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আদালতের অনুমতির পর স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ছাড়া পান। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব্বইয়ের দশকে আলবার্তোর শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকে ২৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে চিলি থেকে প্রত্যর্পণের পর প্রায় ১৬ বছর কারাগারে ছিলেন তিনি।
স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, ৮৫ বছর বয়সী ফুজিমোরি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর একটি গাড়িতে উঠছেন। এ সময় সেখানে তার সমর্থকদের ভিড় ছিল।
১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্টে ছিলেন ফুজিমোরি। তার ক্ষমতাকালে অর্থনৈতিক সঙ্কট নিরসন এবং রক্তক্ষয়ী বামপন্থি বিদ্রোহ অবসানের জন্য তিনি সম্মান পেয়েছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি ও নৃশংসতার অভিযোগে তিনি সমালোচিতও হয়েছেন।
১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে ২৫ জনকে গণহত্যার আদেশ দেওয়ার জন্য ফুজিমোরিকে ২০০৯ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ওই সময় তার সরকার শাইনিং পাথ গেরিলাদের সঙ্গে লড়াই করছিল।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুকজিনস্কি তাকে ক্ষমা করে মুক্তির আদেশ দেন। কিন্তু আন্ত-আমেরিকান আদালত এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের চাপের পরে নিম্ন আদালত ক্ষমার আদেশ বারবার বাতিল ও স্থগিত করে।
পেরুর সর্বোচ্চ আদালত গত মঙ্গলবার মানবিক কারণে ৮৫ বছর বয়সী ফুজিমোরিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট কুকজিনস্কির ক্ষমার আদেশ অনুসারে মুক্তির আদেশ দেন। এর পরদিন বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফুজিমোরি উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগছেন। কারাগারের পরিবেশ তার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই ৮৫ বছর বয়সে ফুজিমোরির শারীরিক অবস্থা চিন্তা করেই তার সাজা কমিয়ে দেয়া হয়।
বিজনেস আওয়ার/ ৭ ডিসেম্বর/ বিএইচ