আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিবাসী কমানোর পরিকল্পনা থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং কম দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের ক্ষেত্রে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি ভিসা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে দেশটি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, নতুন নীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে ‘উচ্চ দক্ষতা’ প্রয়োজন হবে। এই দক্ষতা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘমেয়াদের থাকার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
নতুন নীতিমালার অধীনে, ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ‘উচ্চতর রেটি ‘ পেতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফার ভিসার আবেদন অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বলছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে তারা অভিবাসী অর্ধেক করতে পারে। বর্তমানে দেশটির ‘ভঙ্গুর’ অভিবাসন ব্যবস্থাকে সংশোধনের চেষ্টা করছে তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২–২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় মোট অভিবাসী প্রবেশ করেছে ৫ লাখ ১০ হাজার। এরপরই ভিসানীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের অভিবাসন ব্যবস্থায় ভারসাম্য রাখার জন্য আমরা সবসময় কাজ করছি। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী অভিবাসন নীতির সংস্কার এরই মধ্যে অভিবাসনের ওপর নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করছে। সংস্কারগুলো অভিবাসী কমাতে আরও সাহায্য করবে।
এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী প্রবেশ সীমিত করতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য। গত ৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত পাঁচ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
পাঁচ দফা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে কাজের ভিসা পেতে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের সীমা বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার মতো সিদ্ধান্ত।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যেসব প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে আসতে চান, তাদের সর্বনিম্ন বেতন ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড হতে হবে। আগে এই নিয়ম ছিল ২৬ হাজার ২০০ পাউন্ড। এই এক নিয়মের কারণে অনেক অভিবাসী আসা বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ