ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল আলাদা চান চাকরিপ্রার্থীরা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 78

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি ডিসেম্বর মাসেই ৪৩তম বিসিএসের ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। এবারই প্রথম ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে একসঙ্গে চূড়ান্ত সুপারিশ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে পিএসসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ক্যাডার ও নন ক্যাডারের ফল আলাদা চান তারা।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে এ নিয়ে মানববন্ধন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কর্মসূচি থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো— ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল পৃথক সময়ে প্রকাশ করা, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসের মতো নন-ক্যাডার থেকে বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করা, আগের বিসিএস থেকে এরই মধ্যে সুপারিশকৃতদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ফলপ্রত্যাশী আশিকুর রহমান বলেন, আমরা চাই, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফলাফল যেন আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়। যাতে নন-ক্যাডারে অধিক সংখ্যক পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে অনেক শূন্যপদে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে। আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করায় এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আগের বিসিএস থেকে যাদের সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করারও দাবি জানিয়েছি আমরা।

এর আগে একই দাবি নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান, সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ৪৩তম বিসিএসের কিছু ফলপ্রত্যাশী।

পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পান না। ফল প্রকাশের পর ক্যাডাররা খুশিতে আত্মহারা হন। অথচ পরীক্ষায় ভালো করা সত্ত্বেও শূন্যপদ না থাকায় নন-ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকতে হয় অনেককে। এতে হতাশায় ভোগেন তারা।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। চলতি ডিসেম্বর মাসেই এ বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ফলপ্রত্যাশীরা ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে আলাদাভাবে ফল প্রকাশের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল আলাদা চান চাকরিপ্রার্থীরা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি ডিসেম্বর মাসেই ৪৩তম বিসিএসের ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। এবারই প্রথম ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে একসঙ্গে চূড়ান্ত সুপারিশ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। তবে পিএসসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ক্যাডার ও নন ক্যাডারের ফল আলাদা চান তারা।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির সামনে এ নিয়ে মানববন্ধন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কর্মসূচি থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো— ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ফলাফল পৃথক সময়ে প্রকাশ করা, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসের মতো নন-ক্যাডার থেকে বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে সুপারিশ করা, আগের বিসিএস থেকে এরই মধ্যে সুপারিশকৃতদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করা এবং ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগে প্যানেলের ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ফলপ্রত্যাশী আশিকুর রহমান বলেন, আমরা চাই, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের ফলাফল যেন আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়। যাতে নন-ক্যাডারে অধিক সংখ্যক পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, ৪০ ও ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে অনেক শূন্যপদে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে। আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করায় এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আগের বিসিএস থেকে যাদের সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের সম-গ্রেডে পুনরায় সুপারিশ না করারও দাবি জানিয়েছি আমরা।

এর আগে একই দাবি নিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান, সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ৪৩তম বিসিএসের কিছু ফলপ্রত্যাশী।

পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ পান না। ফল প্রকাশের পর ক্যাডাররা খুশিতে আত্মহারা হন। অথচ পরীক্ষায় ভালো করা সত্ত্বেও শূন্যপদ না থাকায় নন-ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকতে হয় অনেককে। এতে হতাশায় ভোগেন তারা।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। চলতি ডিসেম্বর মাসেই এ বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ফলপ্রত্যাশীরা ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে আলাদাভাবে ফল প্রকাশের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। গত ২০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৪১ জন।

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: