ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 57

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলীয় শহর সিনাবাং থেকে ৩৬২ কিলোমিটার (২২৫ মাইল) পূর্বে ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল) গভীরে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালের দিকে আচেহ প্রদেশে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। তবে ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির এই সংস্থা বলেছে, আচেহ প্রদেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৩ ছিল। ভূমিকম্পের মাত্রার প্রাথমিক পরিমাপে তারতম্য স্বাভাবিক।

২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ নিয়ে নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। ‘রিং অফ ফায়ারে’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় টেকটোনিক প্লেটগুলোর প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

গত ২১ নভেম্বর ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে কমপক্ষে ৩৩১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ভূমিকম্পে আহত হন আরও প্রায় ৬০০ জন। ২০১৮ সালে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এরপর সুনামির আঘাত হানার কারণে ৪ হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান কিংবা নিখোঁজ হন।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং সুনামির সূত্রপাত ঘটে; যাতে ওই অঞ্চলে মোট ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজারই ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

সূত্র: এপি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলীয় শহর সিনাবাং থেকে ৩৬২ কিলোমিটার (২২৫ মাইল) পূর্বে ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল) গভীরে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালের দিকে আচেহ প্রদেশে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। তবে ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির এই সংস্থা বলেছে, আচেহ প্রদেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৩ ছিল। ভূমিকম্পের মাত্রার প্রাথমিক পরিমাপে তারতম্য স্বাভাবিক।

২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ নিয়ে নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। ‘রিং অফ ফায়ারে’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় টেকটোনিক প্লেটগুলোর প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

গত ২১ নভেম্বর ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে কমপক্ষে ৩৩১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ভূমিকম্পে আহত হন আরও প্রায় ৬০০ জন। ২০১৮ সালে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এরপর সুনামির আঘাত হানার কারণে ৪ হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান কিংবা নিখোঁজ হন।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং সুনামির সূত্রপাত ঘটে; যাতে ওই অঞ্চলে মোট ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজারই ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

সূত্র: এপি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: