বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আজ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর ৫ দফা দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন। ৫ দফা দাবি জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিএসসিতে দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:-
১. পুঁজিবাজারের স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকে উত্তোরণে তারল্য প্রবাহ দ্রুত বাড়াতে হবে। এজন্য বিএসইসিকে কমপক্ষে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. পুঁজিবাজারের বর্তমান নাজুক অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নয়নে বা স্বাভাবিকীকরণের জন্য এনআরবি ব্যাংক ও এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইপিও আগামী ৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিত করতে হবে। কেননা, চলতি এক মাসের মধ্যেই তিনটি আইপিও‘র মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা বাজার থেকে বের করে নিলে বাজারে বড় ধরণের তারল্য সঙ্কট সৃষ্টি হবে। এর দায় বিএসইসিকেই নিতে হবে।
০৩. পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আরো ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএসইসি একটি বিশেষ মহলের চাপে ফ্লোর প্রাইস উঠানোর এই নীল নকশার (ষড়যন্ত্র) বাস্তবায়ন দ্রুত তরান্বিত করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা¡ বড় অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও আত্মাহুতি করলে এটার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব বিএসইসির উপরই বর্তাবে।
০৪. বিনিয়োগকারীদের স্থায়ীভাবে সুরক্ষার জন্য ফোর্স সেল দ্রুত বন্ধ করণের ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট ওপেনিং থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মার্জিন ঋণের বিপরীতে আরোপিত ও অনারোপিত ১০০% সূদ সম্পূর্ণ নি:শর্তভাবে মওকুফ করতে হবে।
০৫. বিএসইসি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছিলেন যে, “এমন এক সময়ে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে- যখন কোন বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।” কিন্তু অচিরেই দেখা গেল যে, বিএসইসি একটি বিশেষ স্বার্থান্বেশী মহলের প্ররোচনায় তাঁর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এক ধরণের অপরিপক্ক (হটকারিতা) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তার জন্যই বিএসইসি কর্তৃক ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। কাজেই, বাজারের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তোরণে লেনদেন কমপক্ষে ২ হাজার কোটি থেকে ৩ হাজার কোটিতে উন্নীত করতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/বিএইচ