বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২২টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। একই সময়ে ১৩টি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো কমেছে। বাকি ৭টি কোম্পানি জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যেসব কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে সেগুলো হলো- আফতাব অটোমোবাইলস, এটলাস বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বেঙ্গল উইন্ডশোর, বিএসআরএম লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইফাদ অটোস, কে এন্ড কিউ বাংলাদেশ, কেডিএস এক্সেসরিজ, মীর আখতার হোসাইন, মুন্নু এগ্রো, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ন্যাশনাল টিউবস, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, রংপুর ফাউন্ড্রি, রানার অটোমোবাইলস এবং এসএস স্টিল লিমিটেড।
বিএসআরএম লিমিটেড: কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে বিএসআরএম লিমিটেডের। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৮ টাকা ৮৪ পয়সা।
বিএসআরএম স্টিল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২ টাকা ৯৩ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৭ টাকা ৭৯ পয়সা।
আফতাব অটোমোবাইলস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৮ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২৯ পয়সা।
এটলাস বাংলাদেশ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ০২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ০৮ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ১০ পয়সা।
আজিজ পাইপস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২০ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ পয়সা।
বাংলাদেশ বিল্ডিং: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২৭ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটিরফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৬৯ পয়সা।
বেঙ্গলউইন্ডশোর: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৯ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ০৫ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৫ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমার: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৭ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ০৭ পয়সা।
ইস্টার্ন ক্যাবলস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৭৩ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৭৯ পয়সা।
ইফাদ অটোস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩৬ পয়সা।
কে এন্ড কিউ বাংলাদেশ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৫৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৭৫ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৩০ পয়সা।
কেডিএস এক্সেসরিজ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটিরক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৬ টাকা ২৩ পয়সা।
মীর আখতার হোসাইন: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৫ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা।
মুন্নু এগ্রো: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২৩ পয়সা।
নাহি অ্যালুমিনিয়াম: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০৩ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩৩ পয়সা।
ন্যাশনাল টিউবস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা।
অলিম্পিক এক্সেসরিজ: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৩২ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১০ পয়সা।
রংপুর ফাউন্ড্রি: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৭ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১৩ পয়সা।
রানার অটোমোবাইলস: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৩৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা।
এসএস স্টিল: প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৩ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৩ টাকা ৭৩ পয়সা।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ