বিনোদন ডেস্ক: ধর্ষকরা অশালীন পোশাক দেখে উদ্বুদ্ধ হয়। আর শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হয় না। পোশাক ভালো না হলে তার শরীর-ফিগার দেখে বাজে স্বভাবের লোকজন ধর্ষণের উস্কানি পায়।নারীদের শালীন পোশাক ধর্ষণ কমাতে পারে বলে মনে করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিল।
সম্প্রতি ধর্ষণের প্রতিবাদে একটি ভিডিওবার্তা তার ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন এই তারকা। এতে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট আইন ও তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও অনুরোধ জানান তিনি।
ভিডিওর শুরুতে অনন্ত জলিল ধর্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা ধর্ষণ করছো, তোমরা অমানুষ। তোমাদের তুই করে বলা উচিত। তোমাদের স্ত্রী কন্যাকে কেউ যদি ধর্ষণ করে কেমন লাগবে তোমাদের? তোমার হয়তো ভালোই লাগবে, না হলে অন্যের মা-বোনকে তো রেপ করতে পারতে না। তোমার যে মনুষ্যত্ব সেটা তো মরে গেছে। তোমাদের কারণে সারাদেশে আন্দোলন হচ্ছে, এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে মানুষের জীবন যাপন। জেনে রাখ, তোমাদের জীবনেও একজন নারী আসবে, যদি এখনও বিয়ে না কর।’
এরপর মেয়েদের উদ্দেশে অনন্ত বলেন, ‘একজন ভাই হিসেবে তোমাদের কিছু কথা বলতে চাই। তোমরা যারা সিনেমা, টেলিভিশন দেখে তাদের মতো অশালীন কাপড় পরে বের হও, নিজেকে খুব মডার্ন ভাবো? এইসব ড্রেসআপ দেখে চেহারার দিকে না তাকিয়ে বখাটেরা তোমার ফিগারের দিকে তাকায়, এরপর বিভিন্ন মন্তব্য করে এবং রেপ করার চিন্তা তাদের মাথায় আসে।’
নারীদের টিশার্ট পরার কারণে ‘ইজ্জত শেষ’ হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন এই পোশাক ব্যবসায়ী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথাগুলো আজ তিতা মনে হতে পারে। খুব তিতা। কারণ এর আগে আমি কখনোই এ ধরনের কথা বলি নাই। কিন্তু এগুলো সবই সত্যি কথা। কেন এ ধরনের ড্রেস পরতে হবে? এগুলো কি মডার্ন ড্রেস, নাকি অশালীন ড্রেস? মডার্ন হলো শুধু তোমাদের চেহারাটা দেখা যাবে যা আল্লাহ তোমাকে দিয়েছেন। আর বাকি শরীর সব ঢেকে রাখতে হবে।
তার এই মন্তব্যকে ঘিরে চলছে সমালোচনা। অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে অনন্ত জলিলের বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে নিজেদের ক্ষোভ জানাচ্ছেন। অনেকে আবার বলছেন, অনন্তই সঠিক। দেশে নারীদের আরও পর্দায় থাকা উচিত, শালীন পোশাক পরা উচিত।
বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টবর, ২০২০/এ