ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুর দাম হু-হু করে বেড়ে অর্ধশত ছাড়িয়েছে

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • 64

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাস খানেক আগেও বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আলু বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর পাইকারীতে একই পরিমাণ আলু মিলতো ২৩ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। খুচরায় সেই আলুর দাম হু-হু করে বেড়ে অর্ধশত ছাড়িয়েছে।

খুচরা বাজারে বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা প্রতিকেজি। হিসেব কষলে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আলুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এদিকে আলুর দর বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে ত্রাণ বিতরণে আলুর ব্যবহার, উৎপাদন কম হওয়া, বন্যায় নতুন আলুর রোপণ না হওয়ায় দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে একটি পণ্যের দাম বাড়ানো হলে অন্যটির দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা, তারই অংশ হিসেবে আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। ছোট আলু দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে কারওয়ানবাজারের পাইকারী আড়তে প্রতিকেজি বিক্রমপুর আলু (পাইকারী) বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি।

এ বিষয়ে এক আলু ক্রেতা মতিয়ার বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে অন্যগুলোর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে পেঁয়াজের দাম বাড়লো এরপর একে একে মাছ, মাংস সবশেষে কাঁচাবাজার। আলুর দামও একইভাবে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় দাম বাড়ানোর আরও একটি কারণ। সরকারী সংস্থা নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করা এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আলুর দাম চড়া হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারী বাজারে আলুর দাম বাড়ানোয় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। পাইকারী বাজারে কমলে খুচরাতেও দাম কমে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।

কারওয়ানবাজারের পাইকার আলু বিক্রেতা ও শাপলা ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার ভয়াবহ সময়ে ত্রাণ বিতরণে ব্যাপকহারে আলুর ব্যবহার বেড়েছে। তাছাড়া জমিতে আলুর উৎপাদন কম। এখন স্থানীয় পর্যায়ে আলু খুব বেশি নেই, এসব কারণে দাম একটু বেশি।

বিজনেস আওয়ার/১২ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আলুর দাম হু-হু করে বেড়ে অর্ধশত ছাড়িয়েছে

পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মাস খানেক আগেও বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আলু বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর পাইকারীতে একই পরিমাণ আলু মিলতো ২৩ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। খুচরায় সেই আলুর দাম হু-হু করে বেড়ে অর্ধশত ছাড়িয়েছে।

খুচরা বাজারে বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা প্রতিকেজি। হিসেব কষলে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আলুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এদিকে আলুর দর বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে ত্রাণ বিতরণে আলুর ব্যবহার, উৎপাদন কম হওয়া, বন্যায় নতুন আলুর রোপণ না হওয়ায় দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে একটি পণ্যের দাম বাড়ানো হলে অন্যটির দাম বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা, তারই অংশ হিসেবে আলুর দাম বাড়ানো হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রমপুর আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি। ছোট আলু দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। অন্যদিকে কারওয়ানবাজারের পাইকারী আড়তে প্রতিকেজি বিক্রমপুর আলু (পাইকারী) বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা আর রংপুর ও রাজশাহীর আলুর বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি।

এ বিষয়ে এক আলু ক্রেতা মতিয়ার বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে অন্যগুলোর দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে পেঁয়াজের দাম বাড়লো এরপর একে একে মাছ, মাংস সবশেষে কাঁচাবাজার। আলুর দামও একইভাবে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় দাম বাড়ানোর আরও একটি কারণ। সরকারী সংস্থা নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করা এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আলুর দাম চড়া হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারী বাজারে আলুর দাম বাড়ানোয় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। পাইকারী বাজারে কমলে খুচরাতেও দাম কমে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।

কারওয়ানবাজারের পাইকার আলু বিক্রেতা ও শাপলা ট্রেডার্সের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার ভয়াবহ সময়ে ত্রাণ বিতরণে ব্যাপকহারে আলুর ব্যবহার বেড়েছে। তাছাড়া জমিতে আলুর উৎপাদন কম। এখন স্থানীয় পর্যায়ে আলু খুব বেশি নেই, এসব কারণে দাম একটু বেশি।

বিজনেস আওয়ার/১২ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: