ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়াতে দুই মাসে ১৪ হাজারের বেশি আটক অবৈধ অভিবাসী

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 71

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জিআইএম) চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৮টি অভিযান চালিয়ে নথিবিহীন ১৪ হাজার ৩৬১ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ।

দেশটির সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের খবরে বলা হয়েছে, একই সময়ে ১৩৯ জন নিয়োগকর্তাকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে নথিবিহীন অভিবাসীদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অপরাধ রয়েছে।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এ অভিযান কেবল অবৈধ অভিবাসীদের লক্ষ্যে করা হচ্ছে না, নিয়োগকর্তাদেরও করা হচ্ছে। কিছু নিয়োগকর্তা আছেন যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া এড়াতে চান, তারা লেভি দিতে চান না। এটি ভুল, কারণ দেশে আইন রয়েছে যা অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।’

রুসলিন জুসোহ আরও বলেছেন, ‘যদিও আমরা ১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম) বাস্তবায়ন করছি, অভিবাসন বিভাগ নথিবিহীন বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।’

মালয়েশিয়া ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিআরএম কমূসূচি বাস্তবায়ন করবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে নথিবিহীন অভিবাসীদের ইমিগ্রেশন বিভাগের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করার পরে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর মধ্যে বৈধ ভ্রমণ নথি এবং একটি ফিরতি টিকিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ বছর অভিবাসন বিভাগ মালয়েশিয়াজুড়ে ২২০টি ‘হটস্পট-এ অভিযান পরিচালনা করবে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করার জন্য হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনও কঠোর করেছে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকারী পর্যটকদের তাদের মূল দেশে ফিরতি টিকিট উপস্থাপন করতে হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সক্রিয় বিদেশি কর্মীদের তথ্য হিসাবে রুসলিন বলেছেন, মালয়েশিয়ায় মোট ২১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯ জন বিদেশি কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৫ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তারপর ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩, নেপাল থেকে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৮, মিয়ানমার থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৪ এবং ভারত থেকে এসেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০৬ জন।

এ দেশগুলো ছাড়াও কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেয় মালয়েশিয়া।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মালয়েশিয়াতে দুই মাসে ১৪ হাজারের বেশি আটক অবৈধ অভিবাসী

পোস্ট হয়েছে : ০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জিআইএম) চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ হাজার ৫২৮টি অভিযান চালিয়ে নথিবিহীন ১৪ হাজার ৩৬১ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ।

দেশটির সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের খবরে বলা হয়েছে, একই সময়ে ১৩৯ জন নিয়োগকর্তাকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে নথিবিহীন অভিবাসীদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অপরাধ রয়েছে।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এ অভিযান কেবল অবৈধ অভিবাসীদের লক্ষ্যে করা হচ্ছে না, নিয়োগকর্তাদেরও করা হচ্ছে। কিছু নিয়োগকর্তা আছেন যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া এড়াতে চান, তারা লেভি দিতে চান না। এটি ভুল, কারণ দেশে আইন রয়েছে যা অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।’

রুসলিন জুসোহ আরও বলেছেন, ‘যদিও আমরা ১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম) বাস্তবায়ন করছি, অভিবাসন বিভাগ নথিবিহীন বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।’

মালয়েশিয়া ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিআরএম কমূসূচি বাস্তবায়ন করবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে নথিবিহীন অভিবাসীদের ইমিগ্রেশন বিভাগের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করার পরে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর মধ্যে বৈধ ভ্রমণ নথি এবং একটি ফিরতি টিকিট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ বছর অভিবাসন বিভাগ মালয়েশিয়াজুড়ে ২২০টি ‘হটস্পট-এ অভিযান পরিচালনা করবে। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করার জন্য হটস্পটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনও কঠোর করেছে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকারী পর্যটকদের তাদের মূল দেশে ফিরতি টিকিট উপস্থাপন করতে হবে।

১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সক্রিয় বিদেশি কর্মীদের তথ্য হিসাবে রুসলিন বলেছেন, মালয়েশিয়ায় মোট ২১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯ জন বিদেশি কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৫ বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তারপর ইন্দোনেশিয়া থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩, নেপাল থেকে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৮, মিয়ানমার থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৪ এবং ভারত থেকে এসেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭০৬ জন।

এ দেশগুলো ছাড়াও কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেয় মালয়েশিয়া।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: