ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চতুর্থ উইকেটে সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কা, পিছিয়ে বাংলাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • 97

শুরুতেই তিন টপঅর্ডারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নেমে পিচে আঠার মতো লেগে আছেন দুই ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আশালঙ্কা।

কোনোভাবেই যেন তাদের রক্ষণ ভাগতে পারছেন না বাংলাদেশি বোলাররা। টাইগারদের সিরিজ জয় আটকে দিতে সতর্কতার সঙ্গে খেলে শতরানের জুটি করে ফেলেছেন তারা। দুইজনেই ছুঁয়ে ফেলেছেন ফিফটির মাইলফলক।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। পাথুম নিশাঙ্কা ৫৯ আর আশালঙ্কা ৬২ রানে অপরাজিত আছেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হেনেছেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের গুড লেন্থের বল বুঝে ওঠার আগেই কানায় লাগিয়ে দিয়ে ফাস্ট স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারে হাতে ধরা পড়েন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ১৬ রানে ব্যাট করা লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে মুশফিকুর রহিমের হাতের ক্যাচ বানান তাসকিন। পরের ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১ রানের বেশি করতে দেননি শরিফুল। তাকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে নিজের শিকার তুলে নেন বাঁহাতি পেসার।

এর আগে হৃদয়ের ৫ ছক্কার হার না মানা ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৮৭।

৪৭ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৭ উইকেটে ২৪৭। এরপর শেষ তিন ওভারে ঝড় তুললেন হৃদয় ও তাসকিন আহমেদ। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই তিন ওভারে ৪৪ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডের মতোই টস হেরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস প্রথমে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন।

লিটন দাস আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন প্রথম বলেই। গোল্ডেন ডাক দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করা এই ওপেনার দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরলেন। এবার খেলেছেন ৩ বল।

লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার করা প্রথম ওভারে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দেন লিটন। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকারের ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শান্ত আজও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। কিন্তু মাদুশঙ্কার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকে।

সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল শান্তর ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৪০ রান।

সৌম্য সরকার দারুণ খেলছিলেন। দেখেশুনে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন, ঢুকে পড়েন ওয়ানডের দুই হাজারি ক্লাবে। কিন্তু ২২তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জোড়া আঘাতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সৌম্য ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ রিভার্স সুইপ হাঁকান। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মাদুশঙ্কা। ৬৬ বলে সৌম্যর ৬৮ রানের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার।

এক বল পরই দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার নিজের মোকাবেলা করা দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে হাঁকাতে গিয়ে পড়েন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিম আরেকবার হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেট হয়ে আউট হয়ে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে এলব্ডিব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুশফিক, ২৮ বলে করেন ২৫ রান।

মুশফিক আউট হওয়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজ (১৮ বলে ১২) ও তানজিম সাকিব (৩৩ বলে ১৮) কিছু সময় সঙ্গ দেন হৃদয়কে। এরপর তাসকিনকে নিয়ে ২৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের জুটি করেন হৃদয়। অবশেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮৬ রান।

লঙ্কানদের হয়ে ৪৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দিলশান মাদুশঙ্কা ২টি ও প্রমথ মাদুশান নেন ১টি উইকেট।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ/ জে আর

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চতুর্থ উইকেটে সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কা, পিছিয়ে বাংলাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

শুরুতেই তিন টপঅর্ডারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তবে চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নেমে পিচে আঠার মতো লেগে আছেন দুই ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আশালঙ্কা।

কোনোভাবেই যেন তাদের রক্ষণ ভাগতে পারছেন না বাংলাদেশি বোলাররা। টাইগারদের সিরিজ জয় আটকে দিতে সতর্কতার সঙ্গে খেলে শতরানের জুটি করে ফেলেছেন তারা। দুইজনেই ছুঁয়ে ফেলেছেন ফিফটির মাইলফলক।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। পাথুম নিশাঙ্কা ৫৯ আর আশালঙ্কা ৬২ রানে অপরাজিত আছেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হেনেছেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের গুড লেন্থের বল বুঝে ওঠার আগেই কানায় লাগিয়ে দিয়ে ফাস্ট স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারে হাতে ধরা পড়েন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ১৬ রানে ব্যাট করা লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে মুশফিকুর রহিমের হাতের ক্যাচ বানান তাসকিন। পরের ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১ রানের বেশি করতে দেননি শরিফুল। তাকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে নিজের শিকার তুলে নেন বাঁহাতি পেসার।

এর আগে হৃদয়ের ৫ ছক্কার হার না মানা ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করেই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৮৭।

৪৭ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৭ উইকেটে ২৪৭। এরপর শেষ তিন ওভারে ঝড় তুললেন হৃদয় ও তাসকিন আহমেদ। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এই তিন ওভারে ৪৪ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডের মতোই টস হেরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস প্রথমে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন।

লিটন দাস আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন প্রথম বলেই। গোল্ডেন ডাক দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করা এই ওপেনার দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরলেন। এবার খেলেছেন ৩ বল।

লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার করা প্রথম ওভারে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দেন লিটন। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত আর সৌম্য সরকারের ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শান্ত আজও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন। কিন্তু মাদুশঙ্কার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরতে হয় তাকে।

সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল শান্তর ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ৪০ রান।

সৌম্য সরকার দারুণ খেলছিলেন। দেখেশুনে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন, ঢুকে পড়েন ওয়ানডের দুই হাজারি ক্লাবে। কিন্তু ২২তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জোড়া আঘাতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সৌম্য ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ রিভার্স সুইপ হাঁকান। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মাদুশঙ্কা। ৬৬ বলে সৌম্যর ৬৮ রানের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার।

এক বল পরই দলকে বিপদে ফেলে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার নিজের মোকাবেলা করা দ্বিতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে হাঁকাতে গিয়ে পড়েন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

মুশফিকুর রহিম আরেকবার হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেট হয়ে আউট হয়ে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে সুইপ খেলতে গিয়ে এলব্ডিব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুশফিক, ২৮ বলে করেন ২৫ রান।

মুশফিক আউট হওয়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজ (১৮ বলে ১২) ও তানজিম সাকিব (৩৩ বলে ১৮) কিছু সময় সঙ্গ দেন হৃদয়কে। এরপর তাসকিনকে নিয়ে ২৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের জুটি করেন হৃদয়। অবশেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮৬ রান।

লঙ্কানদের হয়ে ৪৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দিলশান মাদুশঙ্কা ২টি ও প্রমথ মাদুশান নেন ১টি উইকেট।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মার্চ/ জে আর

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: