ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বেড়েছে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
  • 78

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের জন্য তৈরি ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২০০ জন ভারতীয়। আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৬৯।

এতে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের শেয়ারবাজারে শত কোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে। যে কারণে চাঙ্গাভাবে রয়েছে দেশটির শেয়ারবাজার এবং বেড়েছে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদের পরিমাণ। এই ধনীদের সম্মিলিত সম্পদমূল্য প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলারে উঠেছে।

ভারতের শীর্ষ ধনীর আসন এবারও যথারীতি ধরে রেখেছেন মুকেশ আম্বানি। তিনিই প্রথম ভারতীয় ও এশীয় নাগরিক, যার নিট সম্পদমূল্য ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন খাতে তাঁর ব্যবসার সম্প্রসারণ হচ্ছে।

তবে আর্থিক (ডলারভিত্তিক) মূল্যের দিক থেকে চলতি বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য বেড়েছে গৌতম আদানির। এ বছর আদানির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৮ বা ৩ হাজার ৬৮০ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ তোলে, আদানি গোষ্ঠী জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি করছে। তবে এরপর ঋণের বোঝা কমিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ বা নামকরা বিনিয়োগকারীদের ধরে রেখে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন গৌতম আদানি। ফলে তিনি আবার বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় ফিরে আসেন এবং ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় হন। ৩৬.৯০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন শিব নাদার।

ভারতের শীর্ষ নারী ধনীর তকমা এখনো ধরে রেখেছেন জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবিত্রী জিন্দাল। চলতি বছর সম্পদমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি এখন সম্মিলিতভাবে ভারতের চতুর্থ শীর্ষ ধনী; ২০২৩ সালে ছিলেন ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদমূল্য ৩৩.৫০ বিলিয়ন ডলার।

সামগ্রিকভাবে, ভারতের ২০০কোটিপতির দুই-তৃতীয়াংশ গত বছরের তুলনায় এ বছর তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে অন্তত এক ডজন তাদের সম্পদ দ্বিগুণ করেছেন। তাদের মধ্যে আবাসন খাতের বড় ব্যবসায়ী কুশল পাল সিংও রয়েছেন।

ভারতের আবাসন খাতে চাঙাভাব থাকার কারণে কুশলের আবাসন কোম্পানি ডিএলএফের সম্পদমূল্য বেড়ে ২০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। বদৌলতে তিনি বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় ৯২তম স্থান পেয়েছেন।

যদিও ২০০৮ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৮ম শীর্ষ ধনী ও তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বিজনেস আওয়ার/০৫ এপ্রিল/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারে বেড়েছে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের জন্য তৈরি ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২০০ জন ভারতীয়। আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৬৯।

এতে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের শেয়ারবাজারে শত কোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে। যে কারণে চাঙ্গাভাবে রয়েছে দেশটির শেয়ারবাজার এবং বেড়েছে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদের পরিমাণ। এই ধনীদের সম্মিলিত সম্পদমূল্য প্রায় এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলারে উঠেছে।

ভারতের শীর্ষ ধনীর আসন এবারও যথারীতি ধরে রেখেছেন মুকেশ আম্বানি। তিনিই প্রথম ভারতীয় ও এশীয় নাগরিক, যার নিট সম্পদমূল্য ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বিভিন্ন খাতে তাঁর ব্যবসার সম্প্রসারণ হচ্ছে।

তবে আর্থিক (ডলারভিত্তিক) মূল্যের দিক থেকে চলতি বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য বেড়েছে গৌতম আদানির। এ বছর আদানির সম্পদমূল্য বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৮ বা ৩ হাজার ৬৮০ বিলিয়ন ডলার।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট সেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ তোলে, আদানি গোষ্ঠী জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি করছে। তবে এরপর ঋণের বোঝা কমিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ বা নামকরা বিনিয়োগকারীদের ধরে রেখে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন গৌতম আদানি। ফলে তিনি আবার বিশ্বের শীর্ষ ২০ ধনীর তালিকায় ফিরে আসেন এবং ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় হন। ৩৬.৯০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন শিব নাদার।

ভারতের শীর্ষ নারী ধনীর তকমা এখনো ধরে রেখেছেন জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাবিত্রী জিন্দাল। চলতি বছর সম্পদমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি এখন সম্মিলিতভাবে ভারতের চতুর্থ শীর্ষ ধনী; ২০২৩ সালে ছিলেন ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদমূল্য ৩৩.৫০ বিলিয়ন ডলার।

সামগ্রিকভাবে, ভারতের ২০০কোটিপতির দুই-তৃতীয়াংশ গত বছরের তুলনায় এ বছর তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে অন্তত এক ডজন তাদের সম্পদ দ্বিগুণ করেছেন। তাদের মধ্যে আবাসন খাতের বড় ব্যবসায়ী কুশল পাল সিংও রয়েছেন।

ভারতের আবাসন খাতে চাঙাভাব থাকার কারণে কুশলের আবাসন কোম্পানি ডিএলএফের সম্পদমূল্য বেড়ে ২০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। বদৌলতে তিনি বিশ্বের শতকোটিপতিদের তালিকায় ৯২তম স্থান পেয়েছেন।

যদিও ২০০৮ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৮ম শীর্ষ ধনী ও তাঁর সম্পদমূল্য ছিল ৪০ বিলিয়ন ডলার।

বিজনেস আওয়ার/০৫ এপ্রিল/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: