আমিরুল ইসলাম, পর্তুগাল থেকে:
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শুরু হয়েছে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লিসবনে অবস্থিত দেশটির শীর্ষ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ‘কেন্দ্রীয় কালচারাল সেন্টার বেলেই’ এর মিউজিয়াম অফ কনটেম্পোরারি আর্ট সেন্টারে ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য, নির্মাণ উপকরণ ও মানুষের স্থানান্তর’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন বন্যায় আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর জনগোষ্ঠীকে টিকিয়ে রাখার জন্য ‘ক্ষুদি বাড়ি’ নামক একটি ঘরের নকশা তৈরি করেন। স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে এই ঘর তৈরি করা যায়, এমনকি ঘরগুলো সহজে স্থানান্তরও করা যায়।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের করা এই নকশা অনুসারে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ঘরও তৈরি করা হয়েছিল চাঁদপুরের চর হিজলায়। এই ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলো মৌসুমী বন্যা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনে যেসব সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে তার সমাধানে স্থাপত্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ইউরোপের মানুষদের কাছে তুলে ধরাই এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য। প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য এটি সুসংবাদ।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নিশ্চিতভাবেই এটা আমার জন্য একটি ভিন্ন অনুভূতির বিষয়। কেননা বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে ভিন্নভাবে জানতে পারছে। তবে একটি ইউরোপের একটি দেশের রাজধানীতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনে পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের কাউন্সিলর লায়লা মুনতাজেরী দীনাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ কমিউনিটির মুখপাত্র ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, এটা নিশ্চিতভাবেই গর্বের যে বাংলাদেশি একজন স্থপতি পর্তুগালের শীর্ষ কালচারাল সেন্টারে প্রদর্শনীর প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমরা তাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।
১৮ এপ্রিল ২০২৪,