বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। দেশে প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বেশি বজ্রপাত হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪০টি বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।
ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবহাওয়াবিদরা মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেন। বিশেষ করে ছাদযুক্ত ঘরে আশ্রয় নিতে বলা হয়। কিন্তু বজ্রপাতের সময় যারা বাইরে থাকেন, অনেক সময় তাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। তারা কী করবেন? এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদদের পরামর্শ জেনে নিন—
এক. বিদ্যুৎ চমকানো দেখার ৩০ সেকেন্ডের আগেই যদি সেই শব্দ শুনতে পান, তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে এবং আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। ওই পরিস্থিতিতে আপনার উচিত দ্রুত ওই স্থান থেকে সরে যাওয়া।
দুই. বিদ্যুৎ চমকানো দেখার ৩০ সেকেন্ড পর যদি সেই শব্দ শুনতে পান, তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং ওই বজ্রপাত দ্বারা আপনার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। যদি নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সুযোগ না থাকে, তাহলে এক আঙুলে ভর করে বসে পড়তে হবে।
উইকিহাউ-এর তথ্য অনুযায়ী বজ্রপাত থেকে বাঁচার আরও কিছু উপায় জেনে নিন:
ক. বজ্রপাত উঁচু বস্তুতে আঘাত করতে পারে। সুতরাং গাছপালা কিংবা বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছ থেকে সরে যান।
খ. আপনি যদি পুকুরে কিংবা নদীতে সাঁতারকাটা অবস্থায় থাকেন, আপনার উচিত অবিলম্বে পানি থেকে স্থলে চলে আসা।
গ. একসঙ্গে কয়েকজন থাকলে একজনের থেকে অন্যজন ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরত্বে অবস্থান করুন। কারণ একটি বজ্রপাত একজনের থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘ. ধাতব কাঠামো থেকে অন্তত ৩০.৫ মিটার দূরে অবস্থান করুন।
ঙ. কোথাও যাওয়ার সুযোগ না থাকলে আপনার পা একসঙ্গে স্কোয়াট করুন। তারপর আপনার মাথা আপনার বুকে বা আপনার হাঁটুর মধ্যে আটকে রাখুন। এ সময় আপনার হাত দিয়ে কান ঢেকে রাখুন। চোখ বন্ধ করুন।
চ. মাটিতে শুয়ে থাকবেন না।