ঢাকা , বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো ৭ বছর কোমায় থাকার পর গতকাল মারা গেছেন।

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর থেকে টানা ৭ বছর ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। সেদিন দক্ষিণ কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকার সমুদ্রসৈকতে অনুশীলন শেষে ফেরার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এক দারুণ সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটার ছিলেন আকশু ফার্নান্দো। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা শুরু করেছিলেন তিনি। এর কয়েক সপ্তাহ আগেই রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। উন্নতি করছিলেন অফস্পিন বোলিংয়েও।

সিনিয়র পর্যায়ে ৭টি অর্ধশতক ছিল তার। ৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে তিনি কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ন্স স্পোর্টস ক্লাবসহ একাধিক দলের হয়ে খেলেছেন।

ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার এবং রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোশন আবেসিংহে। তিনি বলেন, ‘তিনি ছিলেন এক অসাধারণ তরুণ, যার প্রতিশ্রুতিশীল ক্যারিয়ার থেমে যায় এক নির্মম দুর্ঘটনায়। নিজের স্কুল ও শেষ ক্লাব রাগামার হয়ে তিনি ছিলেন একজন মানসম্মত ক্রিকেটার। যারা তাকে চিনত, আমাদের সবার জন্যই আজকের দিনটি খুব দুঃখের। তিনি ছিলেন হাসিখুশি, বন্ধুবৎসল ও ভদ্র একজন মানুষ। আকশু, আমরা তোমাকে খুব মিস করব এবং সারাজীবন মনে রাখব। শান্তিতে ঘুমাও।’

বিজনেস আওয়ার/ ৩১ ডিসেম্বর / রাসেল

ট্যাগস

৭ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক ক্রিকেটার আকশু ফার্নান্দো ৭ বছর কোমায় থাকার পর গতকাল মারা গেছেন।

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর থেকে টানা ৭ বছর ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। সেদিন দক্ষিণ কলম্বোর মাউন্ট লাভিনিয়া এলাকার সমুদ্রসৈকতে অনুশীলন শেষে ফেরার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এক দারুণ সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটার ছিলেন আকশু ফার্নান্দো। দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা শুরু করেছিলেন তিনি। এর কয়েক সপ্তাহ আগেই রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। উন্নতি করছিলেন অফস্পিন বোলিংয়েও।

সিনিয়র পর্যায়ে ৭টি অর্ধশতক ছিল তার। ৯ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে তিনি কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ন্স স্পোর্টস ক্লাবসহ একাধিক দলের হয়ে খেলেছেন।

ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার এবং রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোশন আবেসিংহে। তিনি বলেন, ‘তিনি ছিলেন এক অসাধারণ তরুণ, যার প্রতিশ্রুতিশীল ক্যারিয়ার থেমে যায় এক নির্মম দুর্ঘটনায়। নিজের স্কুল ও শেষ ক্লাব রাগামার হয়ে তিনি ছিলেন একজন মানসম্মত ক্রিকেটার। যারা তাকে চিনত, আমাদের সবার জন্যই আজকের দিনটি খুব দুঃখের। তিনি ছিলেন হাসিখুশি, বন্ধুবৎসল ও ভদ্র একজন মানুষ। আকশু, আমরা তোমাকে খুব মিস করব এবং সারাজীবন মনে রাখব। শান্তিতে ঘুমাও।’

বিজনেস আওয়ার/ ৩১ ডিসেম্বর / রাসেল