ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • 110

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে সমাজসেবা অধিদফতরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিপুন আক্তারের রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।

সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলি নাই। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নিয়ে অভিযোগ ছিল।

বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন, টাকা-পয়সা দিয়েছেন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আদালত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আদালত বলে দিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ যেন তাঁকে এই পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখে।”

এ আইনজীবী ভাষ্য, ‘মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিপুন আক্তার।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিপজলকে চিঠিও দিয়েছিল নির্বাচন বোর্ড। কিন্তু এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনেও তারা কারচুপি করে।
ভোটার-অ্যাজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট দেওয়া, বৈধ ভোট বাতিল করার মত ঘটনা ঘটে। তখন এসব অভিযোগ উল্লেখ করে নিপুন আক্তার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরেকটি আবেদন করেছিলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর সে বিষয়েও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে তিনি হাইকোর্টে এসে রিট দায়ের করেছেন।’

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে নিপুণ আক্তার-মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্যানেল। ভোট গ্রহণ শেষে ২০ এপ্রিল সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর ১৭০ ভোট পান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি।

অন্যদিকে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ আক্তার। ডিপজল পান ২২৫ ভোট আর নিপুণ পান ২০৯ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন নিপুন। পরে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে রিট করেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে সমাজসেবা অধিদফতরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিপুন আক্তারের রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।

সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও পলাশ চন্দ্র রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলি নাই। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের নিয়ে অভিযোগ ছিল।

বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক পদে যাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন, টাকা-পয়সা দিয়েছেন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আদালত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আদালত বলে দিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ যেন তাঁকে এই পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখে।”

এ আইনজীবী ভাষ্য, ‘মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নির্বাচন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নিপুন আক্তার।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিপজলকে চিঠিও দিয়েছিল নির্বাচন বোর্ড। কিন্তু এরপর আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনেও তারা কারচুপি করে।
ভোটার-অ্যাজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট দেওয়া, বৈধ ভোট বাতিল করার মত ঘটনা ঘটে। তখন এসব অভিযোগ উল্লেখ করে নিপুন আক্তার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরেকটি আবেদন করেছিলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর সে বিষয়েও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণে তিনি হাইকোর্টে এসে রিট দায়ের করেছেন।’

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে নিপুণ আক্তার-মাহমুদ কলি প্যানেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজলের প্যানেল। ভোট গ্রহণ শেষে ২০ এপ্রিল সকালে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর ১৭০ ভোট পান তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলি।

অন্যদিকে মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ আক্তার। ডিপজল পান ২২৫ ভোট আর নিপুণ পান ২০৯ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর ডিপজল ও মিশাকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন নিপুন। পরে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৪ মে রিট করেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/২০ মে/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: