বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের হামলায় তিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বাদিয়া মরুভূমিতে একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলায় তিন সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইট জানিয়েছে, জঙ্গিরা এমন একটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে যেখানে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছিল। হামলায় এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং দুই সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
ব্রিটেন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি বলছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে। যদিও সেখানে আইএস এ ধরনের হামলার ঘটনা আগেও ঘটেছে। দেশটিতে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে আইএসের হামলার খবর পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৩ মে আইএস মরুভূমি এলাকায় তিনটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১৫ সিরীয় সরকারপন্থী যোদ্ধা নিহত হন।
২০১৪ সালে সিরিয়া এবং ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে তথাকথিত খেলাফত ঘোষণা করে আইএস। তবে ২০১৫ সালে রুশ বিমানবাহিনী আইএস অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরু করার পর থেকে এই গোষ্ঠীটির দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল আইএস, বর্তমানে তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।
তবে আইএসকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়নি। এখনও বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে বাদিয়া মরুভূমিতে সরকারপন্থী বাহিনী এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে এপ্রিলের শেষের দিকে আইএসের পৃথক দুটি হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৮ জন সেনা নিহত হন। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাস লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালায় আইএসের বন্দুকধারীরা। এতে বাসটিতে থাকা ২২ সেনাসদস্যের সবাই নিহত হন।
নিহত সেনাসদস্যদের সবাই ছিলেন সিরীয় সশস্ত্র বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের সদস্য। এই ব্রিগেডটির যোদ্ধারা সবাই জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনি ও গত কয়েক বছর ধরে এই ব্রিগেডকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাশার আল-আসাদ সরকারের প্রধান মিত্র রাশিয়া।
বিজনেস আওয়ার/২২ মে/ হাসান