স্পোর্টস ডেস্কঃ ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি থেকে পদত্যাগ করেছেন মরিচিও পচেত্তিনো। এক মৌসুম দায়িত্ব পালন করেই পদত্যাগ করলেন এই আর্জেন্টাইন কোচ।
প্রিমিয়ার লিগে এবার টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে চেলসি। সর্বশেষ ৫ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে তারা। তবে এই মৌসুমে কোনো শিরোপা জিততে পারেনি চেলসি। সে হিসেবে ব্যর্থ একটি মৌসুম শেষ করেছে দ্য ব্লুজরা। অথচ গত দুই বছরে নতুন খেলোয়াড় কেনায় ১০০ কোটি পাউন্ডের বেশি খরচ করেছিল চেলসি।
এই মৌসুমে কারাবাও কাপের ফাইনালে গেলেও লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে চেলসি। আর ম্যানচেস্টার সিটির কাছে একই ব্যবধানে হেরে বাদ পড়েছে এফএ কাপের সেমিফাইনাল থেকে। আর প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে থেকে শেষ করায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও কোয়ালিফাই করতে পারেনি চেলসি।
পদত্যাগের আগে চেলসির সহমালিক বেহদাদ এগবেলির সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর আলোচনা করেন পচেত্তিনো। এরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
পরে পচেত্তিনেরার পদত্যাগ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে চেলসি। ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চেলসি নিশ্চিত করছে, ক্লাব এবং মরিসিও পচেত্তিনো পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।’
নিজের পদত্যাগ নিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘এই ফুটবল ক্লাবের ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য চেলসির মালিকানা গ্রুপ ও ক্রীড়া পরিচালকদের ধন্যবাদ। ইউরোপে ও প্রিমিয়ার লিগে আগামী বছরগুলোয় এগিয়ে যেতে ক্লাব এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
পচেত্তিনোর বিদায় নিয়ে চেলসির ক্রীড়া পরিচালক লরেন্স স্টুয়ার্ট ও পল উইনস্ট্যানলি বলেন, ‘এই মৌসুমের পারফরম্যান্সের জন্য চেলসির সবার পক্ষ থেকে আমরা মরিসিওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এ নিয়ে গেল দুই বছরে চেলসি থেকে পদত্যাগ করলেন মোট ৪ কোচ। এর আগে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করেছিলেন টমাস টুখেল, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও গ্রাহাম পটার।
গত বছর জুলাইয়ে দুই বছরের চুক্তিতে যুক্ত হন পচেত্তিনো। এরপর ক্লাবটির সুদিন ফেরাতে তরুণ ফুুটবলারদের চড়া দামে দলে ভিড়ায় চেলসি। তবুও সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ভালোশুরু করতে পারেননি পচেত্তিনো। প্রথম ১০ ম্যাচের ৭টিতেই হেরেছিল তারা।
বিজনেস আওয়ার/২২ মে/রানা