ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘক্ষণ জিন্সের প্যান্ট পরলে শরীরে যা ঘটে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • 133

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ফ্যাশনে এখন নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই জিন্স প্যান্টের চাহিদা তুঙ্গে। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য জিন্সের বিকল্প নেই। সাধারণত টাইট-ফিটিং জিন্স পরতেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিশেষ করে নারীরা। বছরের পর বছর ধরে স্টাইলে জিন্সের কদর এখনো কমেনি।

তবে দীর্ঘদিন ধরে জিন্স পরার ফলে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। এ বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যান কিংবা জানারও চেষ্টা করেন না। দৈনিক ঘণ্টার পর ঘণ্টা যদি আপনি টাইট জিন্স পরেন তাহলে আপনি নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন। জেনে নিন কী কী হতে পারে?

স্কিনি জিন্স ফ্যাশনেবল হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তা পরে থাকলে পায়ের পেশি ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জিন্স ও আঁটসাঁট বেল্টের সংমিশ্রণ আপনার উরুর সামনের অংশে অসাড়তা, ব্যথা ও ঝিঁঝিঁর কারণ হতে পারে। যা স্কিনি প্যান্ট সিনড্রোম নামেও পরিচিত।

টাইট জিন্স পরলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শরীরের নিচের অংশ ভারী ও ক্লান্ত হতে পারে। কারণ কোমরের চারপাশে খুব সীমাবদ্ধ ও আঁটসাঁট পোশাক শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে শিরাগুলো হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গের দিকে রক্ত পাম্পে বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে।

টাইট জিন্সের কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও বাড়তে পারে। যা অনেকের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অন্ত্রের সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি যদি আপনি পুরোপুরি সুস্থ হন কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় না ভোগেন তবুও ২ সপ্তাহ টাইট পোশাক পরলে এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

এমনকি পিঠ ও নিতম্বের মধ্যকার স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে ব্যাহত করে টাইট জিন্স। এর ফলে নিয়মিত এ সমস্যা হলে অত্যধিক নিম্ন-পিঠের বাঁক সৃষ্টি করতে পারে, তারা আপনার মেরুদণ্ডের ডিস্কে চাপ বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইট জিন্স ব্যবহারে প্রজনন স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে জিন্স ক্লাসিক একটি পোশাক, তবে প্রতিদিন জিন্স পরা মোটেও ভালো নয়। এর ফলে গোপনাঙ্গে সংক্রমণ ও জ্বালা অনুভব হতে পারে। যা ভালভোডাইনিয়ার লক্ষণ।

গবেষকদের মতে, যে নারীরা সপ্তাহে ৪ বারেরও বেশি বার টাইট ফিটিং জিন্স পরেন তাদের ভালভোডাইনিয়া হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাই জিন্স পরলেও টাইট ফিটিং এড়িয়ে চলুন। একই সঙ্গে আঁটোসাটো পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরার অভ্যাস করুন।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

বিজনেস আওয়ার/২৬ জুন/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দীর্ঘক্ষণ জিন্সের প্যান্ট পরলে শরীরে যা ঘটে

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ফ্যাশনে এখন নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই জিন্স প্যান্টের চাহিদা তুঙ্গে। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য জিন্সের বিকল্প নেই। সাধারণত টাইট-ফিটিং জিন্স পরতেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিশেষ করে নারীরা। বছরের পর বছর ধরে স্টাইলে জিন্সের কদর এখনো কমেনি।

তবে দীর্ঘদিন ধরে জিন্স পরার ফলে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। এ বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে যান কিংবা জানারও চেষ্টা করেন না। দৈনিক ঘণ্টার পর ঘণ্টা যদি আপনি টাইট জিন্স পরেন তাহলে আপনি নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন। জেনে নিন কী কী হতে পারে?

স্কিনি জিন্স ফ্যাশনেবল হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তা পরে থাকলে পায়ের পেশি ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জিন্স ও আঁটসাঁট বেল্টের সংমিশ্রণ আপনার উরুর সামনের অংশে অসাড়তা, ব্যথা ও ঝিঁঝিঁর কারণ হতে পারে। যা স্কিনি প্যান্ট সিনড্রোম নামেও পরিচিত।

টাইট জিন্স পরলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শরীরের নিচের অংশ ভারী ও ক্লান্ত হতে পারে। কারণ কোমরের চারপাশে খুব সীমাবদ্ধ ও আঁটসাঁট পোশাক শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে শিরাগুলো হৃৎপিণ্ড ও অন্যান্য অঙ্গের দিকে রক্ত পাম্পে বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে।

টাইট জিন্সের কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও বাড়তে পারে। যা অনেকের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অন্ত্রের সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি যদি আপনি পুরোপুরি সুস্থ হন কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় না ভোগেন তবুও ২ সপ্তাহ টাইট পোশাক পরলে এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

এমনকি পিঠ ও নিতম্বের মধ্যকার স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে ব্যাহত করে টাইট জিন্স। এর ফলে নিয়মিত এ সমস্যা হলে অত্যধিক নিম্ন-পিঠের বাঁক সৃষ্টি করতে পারে, তারা আপনার মেরুদণ্ডের ডিস্কে চাপ বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইট জিন্স ব্যবহারে প্রজনন স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে জিন্স ক্লাসিক একটি পোশাক, তবে প্রতিদিন জিন্স পরা মোটেও ভালো নয়। এর ফলে গোপনাঙ্গে সংক্রমণ ও জ্বালা অনুভব হতে পারে। যা ভালভোডাইনিয়ার লক্ষণ।

গবেষকদের মতে, যে নারীরা সপ্তাহে ৪ বারেরও বেশি বার টাইট ফিটিং জিন্স পরেন তাদের ভালভোডাইনিয়া হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশি। তাই জিন্স পরলেও টাইট ফিটিং এড়িয়ে চলুন। একই সঙ্গে আঁটোসাটো পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরার অভ্যাস করুন।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

বিজনেস আওয়ার/২৬ জুন/ হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: