ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন ছোট মাঠে হচ্ছে কোপা আমেরিকা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • 115

স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন অনেক জিনিস দেখা যায়, যা গতানুগতিক ধারার বাইরে। এই যেমন এবারের কোপা আমেরিকা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। অথচ এই টুর্নামেন্টটা হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আমেরিকায়। বৈশ্বায়নের কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত টুর্নামেন্টের মাঠগুলো আবার খানিকটা অস্বাভাবিক। সাধারণত যে আকারের মাঠে খেলা হয়, সে তুলনায় ছোট।

ছোট মাঠে খেলা নিয়ে বড় দলগুলোকে মাঝেমধ্যেই বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। কনমেবল নির্ধারিত সর্বনিম্ন সীমা ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মাঠগুলোতে খেলা হচ্ছে। এর আগে মাঠের অবকাঠামো, দর্শক খরা, টিকিটের দাম ইত্যাদি নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। আয়োজকরাও বাঁচতে পারেননি সমালোচনা থেকে। তবে মাঠ ছোট নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র কোস্টারিকার বিপক্ষে ড্র করার পর বলেছিলেন, ‘আমি মাঠের সাইজের দিকে সবার দৃষ্টি দিতে বলবো। এটার মানে হচ্ছে, ম্যাচগুলো খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যে দলটি নিজেদের অর্ধের রক্ষণভাগ সামলাচ্ছিল, তারাই আবার প্রতি আক্রমণে দ্রুত প্রতিপক্ষের অর্ধে চলে যেতে পারছে। এটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

মাঠ নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানান কলম্বিয়ার কোচ নেস্তোর লরেঞ্জো। তিনি বলেন, ‘মাঠটা অনেকটা সরু রাস্তার মতো। আপনি দেখবেন থ্রো করে বল ডি-বক্সের একদম ভেতরে ফেলছে প্রতিপক্ষ। এতে করে আমার সামর্থ্য না থাকলেও আমি সেখানে বল পেয়ে যাচ্ছি। প্রায় সকল ফুটবলারই আরো প্রশস্ত মাঠে খেলে অভ্যস্ত।’

এই দুই কোচের অভিযোগই সত্য। কনমেবলই এত সরু মাঠে খেলার অনুমতি দিয়েছে। সাধারণত ফুটবলের মাঠগুলো ১০০ মিটার লম্বা ও ৬৪ মিটার চওড়া হয়ে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি মাঠের ১০টি মাঠের দৈর্ঘ্যই কম, এগুলো আমেরিকান ফুটবল লিগ এনএফএল-এর স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামগুলো লম্বায় ১০০ মিটার থাকলেও চওড়াতে এগুলো ৪৯ মিটার। যে কারণে অনেক সময় ফুটবলাররা খেই হারিয়ে ফেলছে।

মাঠ ছোট হওয়ার কারণে দুই ধরণের দলগুলো সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। প্রথমত, যারা খুব ডিফেন্সিভ খেলছে। দ্বিতীয়ত, যারা চাপ সৃষ্টি করে খেলতে অভ্যস্ত। কারণ, সরু মাঠ হওয়াতে প্রতিপক্ষ কম জায়গা পায় বল নিয়ে দৌড়ানোর। অনেক ম্যাচে কর্নার থেকে নেওয়া কিক অনেক দূরে পড়তে দেখা গেছে

তবে ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিস্থিতি হবে ভিন্ন। সেখানে ফিফার নিয়ম মেনেই ১০৫ মিটার লম্বা ও ৬৮ মিটার চড়া মাঠ বানাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এর ফলে অনেক নামীদামী স্টেডিয়ামের দর্শক সারির প্রথম সারি তুলে ফেলতে হবে আয়োজকদের।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই/রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কেন ছোট মাঠে হচ্ছে কোপা আমেরিকা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: ফুটবলে মাঝে মাঝে এমন অনেক জিনিস দেখা যায়, যা গতানুগতিক ধারার বাইরে। এই যেমন এবারের কোপা আমেরিকা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। অথচ এই টুর্নামেন্টটা হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আমেরিকায়। বৈশ্বায়নের কথা বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত টুর্নামেন্টের মাঠগুলো আবার খানিকটা অস্বাভাবিক। সাধারণত যে আকারের মাঠে খেলা হয়, সে তুলনায় ছোট।

ছোট মাঠে খেলা নিয়ে বড় দলগুলোকে মাঝেমধ্যেই বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। কনমেবল নির্ধারিত সর্বনিম্ন সীমা ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মাঠগুলোতে খেলা হচ্ছে। এর আগে মাঠের অবকাঠামো, দর্শক খরা, টিকিটের দাম ইত্যাদি নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। আয়োজকরাও বাঁচতে পারেননি সমালোচনা থেকে। তবে মাঠ ছোট নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র কোস্টারিকার বিপক্ষে ড্র করার পর বলেছিলেন, ‘আমি মাঠের সাইজের দিকে সবার দৃষ্টি দিতে বলবো। এটার মানে হচ্ছে, ম্যাচগুলো খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। যে দলটি নিজেদের অর্ধের রক্ষণভাগ সামলাচ্ছিল, তারাই আবার প্রতি আক্রমণে দ্রুত প্রতিপক্ষের অর্ধে চলে যেতে পারছে। এটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

মাঠ নিয়ে নিজের ক্ষোভের কথা জানান কলম্বিয়ার কোচ নেস্তোর লরেঞ্জো। তিনি বলেন, ‘মাঠটা অনেকটা সরু রাস্তার মতো। আপনি দেখবেন থ্রো করে বল ডি-বক্সের একদম ভেতরে ফেলছে প্রতিপক্ষ। এতে করে আমার সামর্থ্য না থাকলেও আমি সেখানে বল পেয়ে যাচ্ছি। প্রায় সকল ফুটবলারই আরো প্রশস্ত মাঠে খেলে অভ্যস্ত।’

এই দুই কোচের অভিযোগই সত্য। কনমেবলই এত সরু মাঠে খেলার অনুমতি দিয়েছে। সাধারণত ফুটবলের মাঠগুলো ১০০ মিটার লম্বা ও ৬৪ মিটার চওড়া হয়ে থাকে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি মাঠের ১০টি মাঠের দৈর্ঘ্যই কম, এগুলো আমেরিকান ফুটবল লিগ এনএফএল-এর স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামগুলো লম্বায় ১০০ মিটার থাকলেও চওড়াতে এগুলো ৪৯ মিটার। যে কারণে অনেক সময় ফুটবলাররা খেই হারিয়ে ফেলছে।

মাঠ ছোট হওয়ার কারণে দুই ধরণের দলগুলো সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। প্রথমত, যারা খুব ডিফেন্সিভ খেলছে। দ্বিতীয়ত, যারা চাপ সৃষ্টি করে খেলতে অভ্যস্ত। কারণ, সরু মাঠ হওয়াতে প্রতিপক্ষ কম জায়গা পায় বল নিয়ে দৌড়ানোর। অনেক ম্যাচে কর্নার থেকে নেওয়া কিক অনেক দূরে পড়তে দেখা গেছে

তবে ২০২৬ বিশ্বকাপের পরিস্থিতি হবে ভিন্ন। সেখানে ফিফার নিয়ম মেনেই ১০৫ মিটার লম্বা ও ৬৮ মিটার চড়া মাঠ বানাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। এর ফলে অনেক নামীদামী স্টেডিয়ামের দর্শক সারির প্রথম সারি তুলে ফেলতে হবে আয়োজকদের।

বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই/রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: