বিনোদন ডেস্ক: দেশের নাট্যাঙ্গনের প্রিয়মুখ ফারুক আহমেদ শুধু অভিনেতা হিসেবেই খ্যাতি লাভ করেননি। শিল্পের আরও কয়েকটি শাখা-প্রশাখায় রয়েছে তার বিচরণ। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমায় তার ছিল নিয়মিত উপস্থিতি।
নন্দিত অভিনেতা ফারুক আহমেদ নাট্যকার ও নির্মাতা হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। তার লেখার হাত অসাধারণ। এখন তিনি প্রায়ই সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেন। তার লেখা বই অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটি পাঠকের কাছ থেকে বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। সম্প্রতি আলোচিত ছাগলকাণ্ড নিয়েও তিনি একটি লেখা লিখে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন।
আজ (৪ জুলাই) ফারুক আহমেদ ব্যক্তি জীবনের একটি ফেলে আসা স্মৃতি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এর বিষয়বস্তু ফারুক আহমেদের আবৃত্তি জীবন।
স্ট্যাটাসে ফারুক আহমেদ আবৃত্তিকে তার ‘নেশা’ হিসেবে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘একসময় আবৃত্তি করার নেশা ছিল আমার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে পড়তাম। অথচ আবৃত্তির নেশা। সহপাঠীরা হাসাহাসি করতো আমার পাগলামি দেখে। কেউ কেউ বলতো, তুই বাংলা ডিপার্টমেন্টে চলে যা। আমি বলতাম, কেন ভূগোলে পড়ে আবৃত্তি করা কি পাপ? শত কথা বলেও কেউ আমাকে আবৃত্তি করা থেকে ফেরাতে পারেনি। আমি হলে আমার রুমে চিৎকার করে আবৃত্তি চর্চা করতাম। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি কম্পিটেশন পুরস্কারও পেয়েছি অনেকবার।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এসব এখন শুধুই স্মৃতি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ২০১২ সালের দিকে শুধু শখের বসে একটি আবৃত্তির অ্যালবামও বের করে ছিলাম। ব্যস্ততার কারণে এখন আর আবৃত্তি করা হয় না। হঠাৎ আজ মনে হলো আবার একটা আবৃত্তির অ্যালবাম বের করব। দেখা যাক কি হয়।’
অভিনেতা ফারুক আহমেদের স্ট্যাটাসে বোঝা যাচ্ছে ছাত্রজীবনে তিনি আবৃত্তির নেশায় ডুবে ছিলেন।
বিজনেস আওয়ার/০৪ জুলাই/রানা