বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: শিব সেনা নেতার মদ্যপ ছেলের বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি সম্প্রতি পিষে দেয় এক নারীকে। এই মামলায় অভিযুক্ত মিহির শাহকে এরই মধ্যে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
এদিকে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে দুর্ঘটনার পর বান্ধবীকে কমপক্ষে ৪০ বার ফোন করেছিলেন মিহির। এরপর তার বাড়িতে যান। সেখানেই লুকিয়ে থাকেন। জানা যাচ্ছে, ওই তরুণীকেও এখন হেফাজতে নিতে চলেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে মিহিরকে। এর আগে রোববার গ্রেফাতার হন মিহিরের বাবা শিব সেনা নেতা রাজেশ শাহ। বিরোধীদের চাপের মুখে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের নির্দেশে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে রাজেশকে।
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে জুহুর একটি বারে মদ্যপান করেন তিনি। এরপর ‘লং ড্রাইভে’ নিয়ে যেতে বলেন ড্রাইভারকে। ওরলিতে পৌঁছনোর পর নিজেই গাড়ি চালাবেন বলে জেদ ধরেন। মিহির স্টিয়ারিংয়ে বসার কিছুক্ষণ পরেই একটি স্কুটারে ধাক্কা মারেন। স্কুটারে ছিলেন মাছ বিক্রেতা প্রদিক নাকভা ও তার স্ত্রী কাবেরী নাকভা। অন্য দিনের মতোই রাতে মুম্বাই বন্দরে পাইকারি বাজারে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন তারা। মিহিরের গাড়ি পিষে দেয় কাবেরীকে। প্রদিক আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। এই মামলায় আগেই ১২ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। অধরা ছিলেন মিহির। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, মিহির স্বীকার করেছেন দুর্ঘটনার আগে চালকের আসনে তিনিই ছিলেন। দাড়ি কামিয়ে চেহারা বদলে পালানোর চেষ্টাও করেন। পুলিশ এও জানতে পেরেছে, দুর্ঘটনার পর বিএমডব্লিউ গাড়িটি রাস্তায় কাছে রেখে নম্বর প্লেট খুলে নিয়েছিলেন মিহির। তারপর সেখান থেকে নিজের বান্ধবীর বাড়ি যান। আর তার বাড়ি যাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ বার বান্ধবীকে ফোন করেছিলেন মিহির। বহুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা হয় এবং তারই পরামর্শে মিহির অটো ধরেছিলেন। বান্ধবীর বাড়িতে কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকার পর এলাকা ছাড়েন।
সূত্র: এনডিটিভি
বিজনেস আওয়ার/ ১১জুলাই /হাসান