ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোকানে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন আরিফ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 95

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় বসবাস করতেন মো. আরিফ হোসেন রাজিব (২৬)। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শনিবার (২০ জুলাই) নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গাড়ির দোকানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গাজীপুর সদর মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামের রজ্জব প্রধানের ছেলে।

আরিফ হোসেন রাজিবের ৩ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় থাকতেন তিনি। গত ২১ জুলাই রাঢ়ীকান্দি গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

আরিফের স্ত্রী শরিফা বেগম বলেন, ‘আমার জীবনের প্রদীপ মনে হয় নিভে গেলো। আমি এখন অন্ধকারে পড়ে গেলাম। আমার স্বামী (আরিফ) দোকানে যাওয়ার কথা বলে বিকেল ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই জানতে পারি সে গুলি খেয়ে আহত হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। একটি ছেলে সন্তান রেখে আরিফ এভাবে চলে গেলো। আমি অসহায় হয়ে পড়লাম। সরকার যদি আমাকে কোনো সহযোগিতা করে তাহলে আমার অনেক উপকার হবে।’

মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান বলেন, আমার জানামতে আরিফ একজন খুবই গরিব পরিবারের সন্তান। সে পরিবারসহ গাজীপুরে থাকতো। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, নিহত আরিফের পরিবারের প্রতি যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বিজনেস আওয়ার/৩০ জুলাই/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দোকানে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন আরিফ

পোস্ট হয়েছে : ০১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় বসবাস করতেন মো. আরিফ হোসেন রাজিব (২৬)। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শনিবার (২০ জুলাই) নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গাড়ির দোকানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গাজীপুর সদর মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামের রজ্জব প্রধানের ছেলে।

আরিফ হোসেন রাজিবের ৩ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় থাকতেন তিনি। গত ২১ জুলাই রাঢ়ীকান্দি গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

আরিফের স্ত্রী শরিফা বেগম বলেন, ‘আমার জীবনের প্রদীপ মনে হয় নিভে গেলো। আমি এখন অন্ধকারে পড়ে গেলাম। আমার স্বামী (আরিফ) দোকানে যাওয়ার কথা বলে বিকেল ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই জানতে পারি সে গুলি খেয়ে আহত হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। একটি ছেলে সন্তান রেখে আরিফ এভাবে চলে গেলো। আমি অসহায় হয়ে পড়লাম। সরকার যদি আমাকে কোনো সহযোগিতা করে তাহলে আমার অনেক উপকার হবে।’

মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান বলেন, আমার জানামতে আরিফ একজন খুবই গরিব পরিবারের সন্তান। সে পরিবারসহ গাজীপুরে থাকতো। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, নিহত আরিফের পরিবারের প্রতি যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বিজনেস আওয়ার/৩০ জুলাই/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: