ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এএসআইয়ের নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ!

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (রংপুর): রংপুরে ডিবি পুলিশের এএসআইয়ের (সহকারী উপ-পরিদর্শক) রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়িত এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে আলেয়া নামের এক নারীকে।

জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। সম্পর্কের সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেন ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে।

সেখানে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরো কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ওই বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর দেয়া হয় পরিবারকে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাত্রীর পিতা আয়নাল পুলিশ সদস্য রাজুসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেন। রাত পৌনে ১২ টায় পুলিশ অসুস্থ ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় পুলিশ। রায়হানের বিরুদ্ধে ওই ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে মেয়ে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও আছে।

মামলার স্বাক্ষী ধর্ষিতার পাশের বাড়ির চাচা আতিয়ার রহমান জানান, মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার ভাতিজির সাথে পরিচয় এএসআই রায়হানুলের। তার পর থেকেই তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ভাতিজি তার সাথে কথাবার্তা বলত। আমার ভাতিজি ময়নাকুঠি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে পড়াশুনায় খুব ভালো।

এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তাকে দু’জন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কিনা তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এএসআইয়ের নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ!

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (রংপুর): রংপুরে ডিবি পুলিশের এএসআইয়ের (সহকারী উপ-পরিদর্শক) রায়হানুল ইসলামের নেতৃত্বে নগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকার একটি বাড়িত এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে আলেয়া নামের এক নারীকে।

জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। সম্পর্কের সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেন ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে।

সেখানে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর তার আরো কয়েকজন পরিচিত যুবককে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ওই বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর দেয়া হয় পরিবারকে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাত্রীর পিতা আয়নাল পুলিশ সদস্য রাজুসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেন। রাত পৌনে ১২ টায় পুলিশ অসুস্থ ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় পুলিশ। রায়হানের বিরুদ্ধে ওই ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে মেয়ে নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগও আছে।

মামলার স্বাক্ষী ধর্ষিতার পাশের বাড়ির চাচা আতিয়ার রহমান জানান, মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার ভাতিজির সাথে পরিচয় এএসআই রায়হানুলের। তার পর থেকেই তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আমার ভাতিজি তার সাথে কথাবার্তা বলত। আমার ভাতিজি ময়নাকুঠি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে পড়াশুনায় খুব ভালো।

এ প্রসঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তাকে দু’জন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কিনা তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: