বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে দলের পরিচয়ধারী কতিপয় লোকের অপকর্ম সরকারকেও ফেলেছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। এদের বেশির ভাগকেই ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দলের নেতারা। এরপর থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে আসছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অনুপ্রবেশকারী কারা? অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই কি অনুপ্রবেশকারী? এ বিষয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে না থাকলেও কৌশলে দলটির বিভিন্ন পদ-পদবি বাগিয়ে যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন, দলের পরিচয়ে অপকর্ম করেছেন এবং অন্য দল থেকে এসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন, তারাই অনুপ্রবেশকারী।
এদের একটি তালিকা হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান হবে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগে সুযোগসন্ধানীদের বিষয়ে কথা উঠলেও জি কে শামীম, শামীমা নূর পাপিয়া, ও সাহেদ করিমকাণ্ডের পর দলটির ভেতরেই অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ওঠে।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা বলেন, সুবিধাভোগীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের কর্মকাণ্ডে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে ফেলছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়— সর্বস্তরে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উঠলে এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, যারা আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের পদ-পদবিতে নেই তারাই অনুপ্রবেশকারী। অভিযানের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্য দল থেকে এলেও যারা ভদ্র ইমেজের এবং যাদের দুর্নাম নেই, তারা অনুপ্রবেশকারী নন।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সেজে যারা দলকে বিতর্কিত করছে, সরকারকে সমালোচিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে অনুপ্রবেশকারী হলো যারা অন্য দলের, কৌশলে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে থেকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে দলকে বিতর্কিত করে। এ ধরনের একটি তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। সেই তালিকা ধরে আমরা এ অভিযান শুরু করব।
বিজনেস আওয়ার/২৬ অক্টোবর, ২০২০/এ