বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। ফলে তিনি আগামী মাস থেকে আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকছেন না। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
তিনি জানান, রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ও জাপানে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার ফলে এই মেয়াদ শেষেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আর নির্বাচন করবেন না।
বুধবার (১৪ আগস্ট) টেলিভেশনে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, সেপ্টেম্বরে আমার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যা করতে পারি তার সবকিছুই আমি করে যাব।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে কিশিদার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হবে। এরপর নতুন মেয়াদে দলের দায়িত্ব নিতে আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না কিশিদা। তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দলের মধ্যে তার অবস্থানকে আরও শক্ত করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান। তবে করোনার পর থেকে দেশটির অর্থনীতিতে বেশ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। যা মোকাবিলা করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছেন কিশিদা।
রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনার সঙ্গেও জড়িত তিনি। যারফলে জাপানে তার দলের সমর্থনে নেতিবাচক প্রভাব প্রবল হয়েছে। টোকিও টেম্পল ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাইকেল কুসেক। তিনি বলেছেন, কিশিদা বেশ কিছুদিন যাবৎ জীবিত থাকলেও মৃত ব্যক্তির মত চলাফেরা করছেন।
তার জনপ্রিয়তার যে হাল তাতে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হবেন, এমন কোনো আশা নেই। এক্ষেত্রে এখন এলডিপি-কে নতুন একজন নেতা নির্বাচন করতে হবে, যিনি তার দলের জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হবেন। জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতেও তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। চীনের সঙ্গে ভূ-রাজননৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে মোকাবিলা করতে হবে।
বিজনেস আওয়ার/ ১৪ আগস্ট/ হাসান