বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক:সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দুইটি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর চকবাজার থানায় এ মামলা চারটি দায়ের করা হয়। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে র্যাব এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিয়োগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান সেখান থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে দুইটি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে।
এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও তিনটি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়। গতরাতে কাউন্সিলর ইরফান মোহাম্মদ সেলিম ও তার দেহরক্ষী এমডি জাহিদকে গ্রেফতারের পর আজ দুজনের নামে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। সব মামলায় অস্ত্র ও মাদক আইনে হয়েছে। র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো করেছে।
এর আগে সোমবার কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভিএইচএফ ওয়াকিটকি বেজ স্টেশনটি মূলত এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিজের খরচে অবৈধভাবে এটি স্থাপন করেছিলেন ইরফান। নৌবাহিনীর কর্মকর্তার করা ওই মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে শন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এছাড়া এজাহার নামীয় অন্য দুই আসামিও গ্রেফতার হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা। মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, এবি সিদ্দিক ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করা হয়।
বিজনেস আওয়ার/২৮ অক্টোবর, ২০২০/এ