ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এবার বাইরে আর কেউ চাপে রাখেনি ক্রিকেটারদের’

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • 71

স্পোর্টস ডেস্ক: আর সবার মত তিনি নিজেও খানিকটা অবাক। দলের এমন চমক জাগানো পারফরমেন্স তাকেও করেছে অবাক। হোক তা ভিন্ন ফরম্যাট – টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। তারপরও ইতিহাস জানাচ্ছে টিম বাংলাদেশ গত কয়েক মাস মোটেই ভাল খেলেনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আসরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি।

ব্যক্তিগত পারফরমেন্স ভাল ছিল না একদমই। এছাড়া লাল বলে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলাও হয়নি বেশ কয়েক মাস। একটা বড় অংশ শেষ ৬ মাসের বেশি সময় মেতে ছিলেন সাদা বলে ছোট ফরম্যাটে। সেই দল হঠাৎ পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ৪৪৮ রানের জবাবে ১১৭ রানে লিড নিয়ে ফেলবে, আর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানীদের মাত্র ১৪৬ রানে বেঁধে ফেলে দারুন জয় তুলে নেবে, তা ভাবেননি কেউ।

অনেকেই মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের অতগুলো ফিফটি এবং মিরাজ ও সাকিবের স্পিন ঘূর্নিকেই জয়ের কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন।

কিন্তু ক্রিকেট বোদ্ধা ও বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ধারনা, এর বাইরেও কারণ আছে। ফাহিম মনে করেন, অনেকদিন পর এ টেস্টে ভাল খেলার একটি ভিন্ন কারণ আছে। কি সেই কারণ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিসিবি নতুন পরিচালক বলেন, ‘এ টেস্টে সবাই কন্ট্রিবিউট করেছে। ব্যাটাররা রান করেছে। বোলাররা উইকেট পাওয়ার জন্যই বোলিং করেছে। সবার মাঝে কিছু একটা করার বাসনা, তাড়না ও আন্তরিক ইচ্ছে ছিল। এছাড়া আমার মনে হয় খুব এনার্জেটিক মনে হয়েছে দলটাকে। একটা জিনিস হয়ত খুব পজিটিভ রোল প্লে করেছে। পিছনের সব ম্যাচের তুলনায় এবারের এ ম্যাচের একটি বিষয় ছিল একদম ভিন্ন।’

ফাহিম বোঝানোর চেষ্টা করেন, এবার বাইরে থেকে কোনোরকম হস্তক্ষেপ ছিল না। মানে বোর্ডের কোন শীর্ষ কর্তা ও নীতি নির্ধারক পাকিস্তান যাওয়ার আগে ও পরে একটি কথাও বলেননি ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটাররা একদম চাপমুক্ত ছিলেন। কারো ওপর কোন বাড়তি দায়িত্ব, নির্দেশ, নিষেধ কিছুই ছিল না। মনের দিক থেকে সবাই তাই চাপমুক্ত ছিলেন। নির্ভার ছিলেন।

ফাহিমের ভাষায়, ‘এই টেস্টে এই দলটিকে বাইরে কেউ কোন কথা বলে না। এ দলের পেছনে কেউ ছিল না। থেকে একটি কথাও বলেনি। কোনরকম বার্তা, মেসেজ, নির্দেশ, নিষেধ কিছুই যায়নি এবার। প্লেয়াররা নির্ভার ছিল। কারো মাথায় কোন নির্দেশনা, নিষেধ কিছুই কাজ করেনি।’

‘এই ফ্রিডম ও হস্তক্ষেপ ও টেলিফোন, বার্তা, নিষেধ ও নির্দেশ না হলে ক্রিকেটররা যে ফ্রি হয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারেন, এই ম্যাচ তার প্রতীক হয়ে দেখা দিল।’

বিসিবি ডিরেক্টর ফাহিমের শেষ কথা, অনেকদিন পর এবার ছেলেরা বুঝতে পারলো যে, দলটা আমাদের। দলটাকে যে ওদের, তা ওরা দেখাতে পারলো। এ দলটার ওনারশিপটা ওদের, তাও জানলো।

আমরা ওদের ফ্রি হয়ে খেলতে দিতে পেরেছি। সেটাই তাদের ফ্রি হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে এবং ছেলেরা দেখিয়েও দিয়েছে, আমাদের সামর্থ্য আছে দেশের বাইরে পাকিস্তানের মত দেশকে হারানোর। তারা দেখিয়ে দিল ফ্রিডম দেয়া হলে ডেফিনেটলি তারা ভাল খেলবে।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘এবার বাইরে আর কেউ চাপে রাখেনি ক্রিকেটারদের’

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: আর সবার মত তিনি নিজেও খানিকটা অবাক। দলের এমন চমক জাগানো পারফরমেন্স তাকেও করেছে অবাক। হোক তা ভিন্ন ফরম্যাট – টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। তারপরও ইতিহাস জানাচ্ছে টিম বাংলাদেশ গত কয়েক মাস মোটেই ভাল খেলেনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আসরেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি।

ব্যক্তিগত পারফরমেন্স ভাল ছিল না একদমই। এছাড়া লাল বলে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলাও হয়নি বেশ কয়েক মাস। একটা বড় অংশ শেষ ৬ মাসের বেশি সময় মেতে ছিলেন সাদা বলে ছোট ফরম্যাটে। সেই দল হঠাৎ পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ৪৪৮ রানের জবাবে ১১৭ রানে লিড নিয়ে ফেলবে, আর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানীদের মাত্র ১৪৬ রানে বেঁধে ফেলে দারুন জয় তুলে নেবে, তা ভাবেননি কেউ।

অনেকেই মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের অতগুলো ফিফটি এবং মিরাজ ও সাকিবের স্পিন ঘূর্নিকেই জয়ের কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন।

কিন্তু ক্রিকেট বোদ্ধা ও বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ধারনা, এর বাইরেও কারণ আছে। ফাহিম মনে করেন, অনেকদিন পর এ টেস্টে ভাল খেলার একটি ভিন্ন কারণ আছে। কি সেই কারণ? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিসিবি নতুন পরিচালক বলেন, ‘এ টেস্টে সবাই কন্ট্রিবিউট করেছে। ব্যাটাররা রান করেছে। বোলাররা উইকেট পাওয়ার জন্যই বোলিং করেছে। সবার মাঝে কিছু একটা করার বাসনা, তাড়না ও আন্তরিক ইচ্ছে ছিল। এছাড়া আমার মনে হয় খুব এনার্জেটিক মনে হয়েছে দলটাকে। একটা জিনিস হয়ত খুব পজিটিভ রোল প্লে করেছে। পিছনের সব ম্যাচের তুলনায় এবারের এ ম্যাচের একটি বিষয় ছিল একদম ভিন্ন।’

ফাহিম বোঝানোর চেষ্টা করেন, এবার বাইরে থেকে কোনোরকম হস্তক্ষেপ ছিল না। মানে বোর্ডের কোন শীর্ষ কর্তা ও নীতি নির্ধারক পাকিস্তান যাওয়ার আগে ও পরে একটি কথাও বলেননি ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটাররা একদম চাপমুক্ত ছিলেন। কারো ওপর কোন বাড়তি দায়িত্ব, নির্দেশ, নিষেধ কিছুই ছিল না। মনের দিক থেকে সবাই তাই চাপমুক্ত ছিলেন। নির্ভার ছিলেন।

ফাহিমের ভাষায়, ‘এই টেস্টে এই দলটিকে বাইরে কেউ কোন কথা বলে না। এ দলের পেছনে কেউ ছিল না। থেকে একটি কথাও বলেনি। কোনরকম বার্তা, মেসেজ, নির্দেশ, নিষেধ কিছুই যায়নি এবার। প্লেয়াররা নির্ভার ছিল। কারো মাথায় কোন নির্দেশনা, নিষেধ কিছুই কাজ করেনি।’

‘এই ফ্রিডম ও হস্তক্ষেপ ও টেলিফোন, বার্তা, নিষেধ ও নির্দেশ না হলে ক্রিকেটররা যে ফ্রি হয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারেন, এই ম্যাচ তার প্রতীক হয়ে দেখা দিল।’

বিসিবি ডিরেক্টর ফাহিমের শেষ কথা, অনেকদিন পর এবার ছেলেরা বুঝতে পারলো যে, দলটা আমাদের। দলটাকে যে ওদের, তা ওরা দেখাতে পারলো। এ দলটার ওনারশিপটা ওদের, তাও জানলো।

আমরা ওদের ফ্রি হয়ে খেলতে দিতে পেরেছি। সেটাই তাদের ফ্রি হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে এবং ছেলেরা দেখিয়েও দিয়েছে, আমাদের সামর্থ্য আছে দেশের বাইরে পাকিস্তানের মত দেশকে হারানোর। তারা দেখিয়ে দিল ফ্রিডম দেয়া হলে ডেফিনেটলি তারা ভাল খেলবে।’

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: