ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সফলরা হয়েছেন যাযাবর, ব্যর্থরা পেয়েছেন রাজপ্রাসাদ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • 68

স্পোর্টস ডেস্ক: দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন সব মিলিয়ে ৫৫টি। এর মধ্যে সর্বশেষ ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদন পায় গত ১৫-১৬ বছরে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিছু ব্যক্তি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নতুন নতুন অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদন করিয়ে নেন।

দেশে ভুরিভুরি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন থাকলেও ৭৫ ভাগেরই নেই অনুশীলনের নিজস্ব বা নির্দিষ্ট ভেন্যু। বিদ্যমান খেলাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা না করেই প্রতি বছর ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন জন্ম দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বছর বছর ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন বাড়ায় বেড়েছে অনুশীলনের স্থান সংকটও।

ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন বাড়লেও বাড়েনি খেলার মান। ২০১৯ সালে নেপালে হওয়া সর্বশেষ এসএ গেমসের ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই পরিস্কার হবে কোন খেলার কতটা দক্ষতা এবং সফলতা।

২০১৯ সালের এসএ গেমসে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯ স্বর্ণ। যে খেলাগুলোয় স্বর্ণ এসেছে তাদের বেশিরভাগের নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। অনুশীলনের নির্দিষ্ট কোনো জায়গাও নেই। যাযাবরের মতো আজ এখানে তো কাল আরেক জায়গায় অনুশীলনের জন্য ছোটাছুটি করতে হয় এসব খেলার ক্রীড়াবিদদের। কখনও কখনও থাকতে হয় অন্য কোনো খেলার অনুশীলন শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। নানা সমস্যা ঠেলে এগিয়ে চলা সেরকম কিছু খেলাই দেশকে এনে দিয়েছে সম্মান।

সর্বশেষ এসএ গেমসে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছিল ২৫টি ডিসিপ্লিনে। এর মধ্যে স্বর্ণের খাতায় নাম লেখাতে পেরেছে মাত্র ৬টি- আরচারি, কারাতে, ক্রিকেট, ভারোত্তোলন, তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিং। রৌপ্য পর্যন্ত যেতে পেরেছে ৮ খেলা- অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, গলফ, খে খো, শুটিং, সাঁতার, কুস্তি ও উশু। খালি হাতে ফিরেছে পাঁচটি- বাস্কেটবল, সাইক্লিং, স্কোয়াশ, টেনিস ও ভলিবল। ব্রোঞ্জ পাওয়া খেলাগুলো হলো- ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি ও টেবিল টেনিস।

স্বর্ণ জেতা খেলাগুলোর মধ্যে ক্রিকেটই স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবচেয়ে বেশি ১০ স্বর্ণ জেতা আরচারির অনুশীলনের জন্য অবশ্য টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি চারটি- কারাতে, ভারোত্তোলন, তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিংয়ের অনুশীলন করতে হয় অন্যদের সঙ্গে ভেন্যু ভাগাভাগি করে।

শূন্য হাতে আসা খেলাগুলোর মধ্যে নিজস্ব ভেন্যু আছে টেনিস ও ভলিবলের। নামমাত্র ব্রোঞ্জ পাওয়া খেলাগুলোর মধ্যে ‘আলিশান ভেন্যু’ নিয়ে আছে ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ও টেবিল টেনিসের।

পল্টন ময়দানে বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স এককভাবে ব্যবহার করে রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। দেশের অপ্রচলিত এ খেলাটি তো এসএ গেমসেই ছিল না। শেখ রাসেলের নাম দিয়ে পল্টনে বিশাল জায়গা দখল করে আছে এই খেলাটি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফেডারেশনের লোকজনই কমপ্লেক্স থেকে সরিয়ে ফেলেছে শেখ রাসেলের নাম। কমপ্লেক্সের সামনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বড় বড় ছবি টানিয়েও সমালোচিত হয়েছেন এই ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার গেমসে যে খেলাগুলো নিয়ে প্রত্যাশা থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম সাঁতার ও শুটিং। দুটি খেলারই আছে নিজস্ব ভেন্যু ও সবধরনের সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু দুটির একটিও স্বর্ণ জিততে পারেনি।

তার আগের গেমসে এই দুই খেলায় তিনটি স্বর্ণ ছিল বাংলাদেশের। এর মধ্যে দুটি ছিল সাঁতারে, একটি শ্যুটিংয়ে।

দেশের খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র রাজধানীর পল্টন ময়দান এবং এর আশপাশের এলাকা। প্রধান ক্রীড়া ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ এ এলাকায় আছে ১১টি ক্রীড়া স্থাপনা। বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ও এ অঞ্চলে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও আশেপাশের ১১টি ক্রীড়া স্থাপনার মধ্যে ৭টিই এককভাবে ব্যবহার করে- হকি, কাবাডি, ভলিবল, বক্সিং, রোলার স্কেটিং, হ্যান্ডবল ও সুইমিং। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের হলেও এখানে জাতীয় অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তাদের ভেন্যু ছেড়ে দিতে হয়।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ জিমন্যাসিয়াম ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস ব্যবহার করে। সুইমিংপুলের সামনে জিমন্যাসিয়ামটিতে অনুশীলন হয় ভারোত্তোলন ও শরীর গঠন ফেডারেশনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাসিয়ামটি তায়কোয়ানদো, কুস্তি ও জিমন্যাস্টিকস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। মার্শাল আর্টের আরও কয়েকটি খেলাও এখানে তাদের কর্মসূচিগুলো করে থাকে।

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পায় কারাতে, উশু, জুডো আর ফেন্সিং। ভলিবল ও কাবাডির আন্তর্জাতিক আসরও বসে এই ইনডোরে।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৭৫ ভাগ খেলার নিজস্ব ভেন্যু না থাকলেও কয়েকটির আছে আবার রীতিমতো ‘রাজপ্রাসাদ’। নিজস্ব আলিশান ভেন্যু নিয়ে বসে থাকা এই ফেডারেশনগুলোই ডাব্বা মেরেছে সর্বশেষ এসএ গেমসে। ‘রাজপ্রাসাদ’ দখলে থাকলেও তাদের ফলাফল শূন্য।

এতেই বোঝা যায়, অনুশীলনের জায়গা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে চরম বৈষম্য। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেন কিছু ক্রীড়া সংগঠক। সাফল্য থাকার পরও তাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না সফল কিছু ফেডারেশন।

টেনিস, হ্যান্ডবল, ভলিবল, অ্যাথলেটিকস, কাবাডি, সাঁতার, শুটিং, ফুটবল, রোলার স্কেটিং, বক্সিং, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হকি- এসব খেলা বড়সড় ভেন্যু নিয়ে আছে। কিন্তু এসএ গেমসে স্বর্ণ উপহার দেয়া কারাতে, তায়কোয়ানদো, ফেন্সিংয়ের সেই সুযোগ নেই। ভারোত্তোলনের আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকলেও তা মানসম্পন্ন নয়।

বিজনেস আওয়ার/ ২৬ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সফলরা হয়েছেন যাযাবর, ব্যর্থরা পেয়েছেন রাজপ্রাসাদ

পোস্ট হয়েছে : ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: দেশে ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন সব মিলিয়ে ৫৫টি। এর মধ্যে সর্বশেষ ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদন পায় গত ১৫-১৬ বছরে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিছু ব্যক্তি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নতুন নতুন অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদন করিয়ে নেন।

দেশে ভুরিভুরি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন থাকলেও ৭৫ ভাগেরই নেই অনুশীলনের নিজস্ব বা নির্দিষ্ট ভেন্যু। বিদ্যমান খেলাগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা না করেই প্রতি বছর ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন জন্ম দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বছর বছর ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন বাড়ায় বেড়েছে অনুশীলনের স্থান সংকটও।

ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন বাড়লেও বাড়েনি খেলার মান। ২০১৯ সালে নেপালে হওয়া সর্বশেষ এসএ গেমসের ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই পরিস্কার হবে কোন খেলার কতটা দক্ষতা এবং সফলতা।

২০১৯ সালের এসএ গেমসে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯ স্বর্ণ। যে খেলাগুলোয় স্বর্ণ এসেছে তাদের বেশিরভাগের নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। অনুশীলনের নির্দিষ্ট কোনো জায়গাও নেই। যাযাবরের মতো আজ এখানে তো কাল আরেক জায়গায় অনুশীলনের জন্য ছোটাছুটি করতে হয় এসব খেলার ক্রীড়াবিদদের। কখনও কখনও থাকতে হয় অন্য কোনো খেলার অনুশীলন শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। নানা সমস্যা ঠেলে এগিয়ে চলা সেরকম কিছু খেলাই দেশকে এনে দিয়েছে সম্মান।

সর্বশেষ এসএ গেমসে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছিল ২৫টি ডিসিপ্লিনে। এর মধ্যে স্বর্ণের খাতায় নাম লেখাতে পেরেছে মাত্র ৬টি- আরচারি, কারাতে, ক্রিকেট, ভারোত্তোলন, তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিং। রৌপ্য পর্যন্ত যেতে পেরেছে ৮ খেলা- অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, গলফ, খে খো, শুটিং, সাঁতার, কুস্তি ও উশু। খালি হাতে ফিরেছে পাঁচটি- বাস্কেটবল, সাইক্লিং, স্কোয়াশ, টেনিস ও ভলিবল। ব্রোঞ্জ পাওয়া খেলাগুলো হলো- ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি ও টেবিল টেনিস।

স্বর্ণ জেতা খেলাগুলোর মধ্যে ক্রিকেটই স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবচেয়ে বেশি ১০ স্বর্ণ জেতা আরচারির অনুশীলনের জন্য অবশ্য টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি চারটি- কারাতে, ভারোত্তোলন, তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিংয়ের অনুশীলন করতে হয় অন্যদের সঙ্গে ভেন্যু ভাগাভাগি করে।

শূন্য হাতে আসা খেলাগুলোর মধ্যে নিজস্ব ভেন্যু আছে টেনিস ও ভলিবলের। নামমাত্র ব্রোঞ্জ পাওয়া খেলাগুলোর মধ্যে ‘আলিশান ভেন্যু’ নিয়ে আছে ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ও টেবিল টেনিসের।

পল্টন ময়দানে বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স এককভাবে ব্যবহার করে রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। দেশের অপ্রচলিত এ খেলাটি তো এসএ গেমসেই ছিল না। শেখ রাসেলের নাম দিয়ে পল্টনে বিশাল জায়গা দখল করে আছে এই খেলাটি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফেডারেশনের লোকজনই কমপ্লেক্স থেকে সরিয়ে ফেলেছে শেখ রাসেলের নাম। কমপ্লেক্সের সামনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বড় বড় ছবি টানিয়েও সমালোচিত হয়েছেন এই ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার গেমসে যে খেলাগুলো নিয়ে প্রত্যাশা থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম সাঁতার ও শুটিং। দুটি খেলারই আছে নিজস্ব ভেন্যু ও সবধরনের সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু দুটির একটিও স্বর্ণ জিততে পারেনি।

তার আগের গেমসে এই দুই খেলায় তিনটি স্বর্ণ ছিল বাংলাদেশের। এর মধ্যে দুটি ছিল সাঁতারে, একটি শ্যুটিংয়ে।

দেশের খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র রাজধানীর পল্টন ময়দান এবং এর আশপাশের এলাকা। প্রধান ক্রীড়া ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ এ এলাকায় আছে ১১টি ক্রীড়া স্থাপনা। বেশিরভাগ ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ও এ অঞ্চলে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও আশেপাশের ১১টি ক্রীড়া স্থাপনার মধ্যে ৭টিই এককভাবে ব্যবহার করে- হকি, কাবাডি, ভলিবল, বক্সিং, রোলার স্কেটিং, হ্যান্ডবল ও সুইমিং। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের হলেও এখানে জাতীয় অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তাদের ভেন্যু ছেড়ে দিতে হয়।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ জিমন্যাসিয়াম ব্যাডমিন্টন ও টেবিল টেনিস ব্যবহার করে। সুইমিংপুলের সামনে জিমন্যাসিয়ামটিতে অনুশীলন হয় ভারোত্তোলন ও শরীর গঠন ফেডারেশনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমন্যাসিয়ামটি তায়কোয়ানদো, কুস্তি ও জিমন্যাস্টিকস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। মার্শাল আর্টের আরও কয়েকটি খেলাও এখানে তাদের কর্মসূচিগুলো করে থাকে।

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পায় কারাতে, উশু, জুডো আর ফেন্সিং। ভলিবল ও কাবাডির আন্তর্জাতিক আসরও বসে এই ইনডোরে।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৭৫ ভাগ খেলার নিজস্ব ভেন্যু না থাকলেও কয়েকটির আছে আবার রীতিমতো ‘রাজপ্রাসাদ’। নিজস্ব আলিশান ভেন্যু নিয়ে বসে থাকা এই ফেডারেশনগুলোই ডাব্বা মেরেছে সর্বশেষ এসএ গেমসে। ‘রাজপ্রাসাদ’ দখলে থাকলেও তাদের ফলাফল শূন্য।

এতেই বোঝা যায়, অনুশীলনের জায়গা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে চরম বৈষম্য। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নেন কিছু ক্রীড়া সংগঠক। সাফল্য থাকার পরও তাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না সফল কিছু ফেডারেশন।

টেনিস, হ্যান্ডবল, ভলিবল, অ্যাথলেটিকস, কাবাডি, সাঁতার, শুটিং, ফুটবল, রোলার স্কেটিং, বক্সিং, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হকি- এসব খেলা বড়সড় ভেন্যু নিয়ে আছে। কিন্তু এসএ গেমসে স্বর্ণ উপহার দেয়া কারাতে, তায়কোয়ানদো, ফেন্সিংয়ের সেই সুযোগ নেই। ভারোত্তোলনের আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকলেও তা মানসম্পন্ন নয়।

বিজনেস আওয়ার/ ২৬ আগস্ট / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: