ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের নতুন পরিকল্পনা, প্রস্তুত রোডম্যাপও

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 237

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: নজিরবিহীন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে পাকিস্তান। এমনকি, কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে রোডম্যাপ ও কৌশলপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে পাকিস্তান সরকার। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রদূতসহ পাকিস্তানের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের জন্য একটি রোডম্যাপ বা কৌশলপত্র তৈরি করেছেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য এই রোডম্যাপ তৈরি করেছেন তারা।

এদিকে, কীভাবে ও কোন কৌশল অবলম্বন করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে দায়িত্বপালন করা সাবেক হাইকমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিকরা বলেছেন, অবশ্যই বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সুবিধা নিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা ও দক্ষ কূটনীতি অবলম্বন করতে হবে।

এছাড়া কোনো পক্ষ না নিয়ে বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন কুটনীতিকরা। একজন কূটনীতিক শাহবাজকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, পাকিস্তান চাইলে বাংলাদেশে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে পারে বা বাংলাভাষী কাউকে হাই-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারে।

পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিকরা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য ভারতকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকারী অবসরপ্রাপ্ত এক আমলা বলেছেন, বাংলাদেশিরা কখনোই কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেবে না। তারা স্বভাবগতভাবেই স্বাধীনচেতা।

অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা আরও প্রস্তাব করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারতের দৃষ্টিতে দেখা উচিত হবে না পাকিস্তানের। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ধরন যেমনই হোক না কেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই তার নিজস্ব পথ ও কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

গত মাসের শুরুতে ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে। আর এটিকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।

হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে নানা টানাপড়েন ছিল। যদিও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছে ইসলামাবাদ, কিন্তু ভারতঘেষা হাসিনা বারবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের নতুন পরিকল্পনা, প্রস্তুত রোডম্যাপও

পোস্ট হয়েছে : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: নজিরবিহীন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে পাকিস্তান। এমনকি, কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা হবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে রোডম্যাপ ও কৌশলপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছে পাকিস্তান সরকার। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রদূতসহ পাকিস্তানের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের জন্য একটি রোডম্যাপ বা কৌশলপত্র তৈরি করেছেন। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য এই রোডম্যাপ তৈরি করেছেন তারা।

এদিকে, কীভাবে ও কোন কৌশল অবলম্বন করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে দায়িত্বপালন করা সাবেক হাইকমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিকরা বলেছেন, অবশ্যই বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সুবিধা নিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা ও দক্ষ কূটনীতি অবলম্বন করতে হবে।

এছাড়া কোনো পক্ষ না নিয়ে বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন কুটনীতিকরা। একজন কূটনীতিক শাহবাজকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, পাকিস্তান চাইলে বাংলাদেশে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে পারে বা বাংলাভাষী কাউকে হাই-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারে।

পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিকরা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য ভারতকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকারী অবসরপ্রাপ্ত এক আমলা বলেছেন, বাংলাদেশিরা কখনোই কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেবে না। তারা স্বভাবগতভাবেই স্বাধীনচেতা।

অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা আরও প্রস্তাব করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারতের দৃষ্টিতে দেখা উচিত হবে না পাকিস্তানের। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ধরন যেমনই হোক না কেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই তার নিজস্ব পথ ও কৌশল অনুসরণ করতে হবে।

গত মাসের শুরুতে ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে। আর এটিকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।

হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে নানা টানাপড়েন ছিল। যদিও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছে ইসলামাবাদ, কিন্তু ভারতঘেষা হাসিনা বারবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

বিজনেস আওয়ার/ সেপ্টেম্বর ০২ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: