বিনোদন ডেস্ক: নাট্যনির্দেশক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর আজ (১১ সেপ্টেম্বর) প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিকেল ৩টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি শিল্পকলাকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান। তার বক্তব্যে এ প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে গড়তে বেশ কতগুলো দিক উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি শিল্পকলাকে ঢেলে সাজানোর কথাও বলেন।
সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ২ থেকে ধারা ১৩ এর ৩ নং উপধারা পর্যন্ত কোথাও বস্তুত এই একাডেমি বলতে রাষ্ট্র কী মনে করে এবং এর ভিশন (রূপকল্প) কী তা স্পষ্ট হয় না।’
শিল্পকলা একাডেমিকে বিকেন্দ্রীকরণে কথা বলে সৈয়দ জামিল জানান, একাডেমির বাজেট বাড়িয়ে জেলা ইউনিটগুলিকে স্থানীয় সাংস্কৃতিক স্বায়ত্তশাসিত এককে পরিণত করতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিগুলোর প্রদর্শন, পুনঃসৃজন ও উদ্ভাবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, লোকজশিল্পী ও জনগণের পরিসর রূপে জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোকে গড়ে তুলবার আর কোনো বিকল্প নেই।
শিল্পকলাকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ার কথাও সৈয়দ জামিলের কথায় উঠে আসে। এ সময় তিনি দুর্নীতির অসৎ প্রক্রিয়া অনুসন্ধান, দুর্নীতির কারণ চিহ্নিতকরণ ও নিশ্চিহ্নকরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার বলেন। সেই লক্ষ্যে একজন অর্থনৈতিক পরামর্শক স্বল্পকালীন সময়ে নিয়োজিত করে আর্থিক দুর্নীতির খাত ও কারণগুলো চিহ্নিত করার প্রতি তিনি জোর দেন।
সম্প্রতি দেশের ২১টি জেলার শিল্পকলা একাডেমি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেগুলো সচল ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মহাপরিচালকের জরুরি পরিদর্শন ও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলে নতুন এ মহাপরিচালক। এসব কাজে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সংযুক্তি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই যোগসাধনে কী করণীয় তা সর্বাগ্রে নির্ধারণ করতে হবে বলেও মনে করেন সৈয়দ জামিল।
বাংলাদেশ শিল্পকলার নতুন এ মহাপরিচালক প্রথম সংবাদ সম্মেলন তার ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নিজের জবাবদিহিতার কথা তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস আওয়ার/ ১১ সেপ্টেম্বর / রানা