ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের মাটিতে এবার কি কিছু করতে পারবে শান্তর দল?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 25

স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে টেস্ট জয়ের রেকর্ড না থাকলেও এর আগে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি এবং জয়ের প্রায় হাত মেলানো দূরত্বে যাওয়ার রেকর্ড কিন্তু ছিল। ভাগ্য সহায় থাকলে আর নির্ভুল ও নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং হলে হয়ত ২০০৩ সালে মুলতানেই পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব হতো। এছাড়া ২০১৫ সালে খুলনায় তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অসামান্য ও অনমনীয় দৃঢ়তায় ৫ দিন লড়াই করে কৃতিত্বপূর্ণ টেস্ট ড্র করার রেকর্ডও আছে টাইগারদের।

কিন্তু ভারতের সাথে ওসব কিছুই নেই। জয়তো অলিক কল্পনা। এখন পর্যন্ত ভারতের সাথে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য আর মাঠের পারফরমেন্স দিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করে ভারতের সাথে একটি টেস্টও ড্র করতে পারেনি বাংলাদেশ।

ইতিহাস জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৩ বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ১১ বারই জিতেছে ভারত। আর দুটি টেস্ট নিষ্ফলা থাকলেও সেগুলো বৃষ্টির কারণে এবং কাকতালীয়ভাবে দুটিই বাংলাদেশের মাটিতে।

প্রথম বৃষ্টির বাঁধায় বাংলাদেশ আর ভারতের টেস্ট ড্র হয় ২০০৭ সালে; চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রথম দু’দিন মোটামুটি ঠিকই ছিল ৯০+৯০ = ১৮০ ওভারের বদলে (৭৭ ও ৯৭) ১৭৪ ওভার খেলা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে পুরো তৃতীয়দিন ধুয়ে-মুছে যায়। পরের ২ দিনেও খেলা হয়েছে মোটে ৪২ ওভার।

এভাবেই ওই টেস্ট ড্র হয়। অথচ সেই সিরিজের অপর টেস্ট ভারত জিতে যায় ইনিংস ও ২৩৯ রানে। একইভাবে ২০১৫ সালেও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এক ম্যাচের টেস্ট বৃষ্টিতে চরমভাবে বিঘ্নিত হয়ে অমিমাংসিত থেকে যায়। সে ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ৫ দিনে ৪৫০ ওভারের বদলে অর্ধেকেরও কম মাত্র ১৮৩.৫ ওভার খেলা হয়েছিল।

ভারত যে ১১ টেস্ট জিতেছে, তার মধ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ১৩৮ রানে হারলেও শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ টেস্টে টাইগাররা প্রাণপন লড়াই করে জেতার সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। পরে হেরে গেছে ৩ উইকেটে।

ওদিকে ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে এর আগে ২ বার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ওই দুইবারে তিন ম্যাচেই চরম ভরাডুবি হয়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একমাত্র টেস্টে হায়দরাবাদে ২০৮ রানের বড় পরাজয় ছিল সঙ্গী। আর শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরে গিয়ে আবার নাকানি-চুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চরমভাবে পর্যদুস্ত হয়েছিল টাইগাররা। ইন্দোর ও কলকাতায় দুই টেস্টেই ইনিংসে (ইনিংস ও ১৩০ আর ইনিংস ও ৪৬ রানে) পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ।

এবার ৫ বছর পর আবার ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। কাল বৃহস্পতিবার থেকে চেন্নাইতে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। এবার ভারতের মাটিতে কি করবে শান্তর দল? আগের সেই না পারা ও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে কি এবার?

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ সেপ্টেম্বর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভারতের মাটিতে এবার কি কিছু করতে পারবে শান্তর দল?

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে টেস্ট জয়ের রেকর্ড না থাকলেও এর আগে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি এবং জয়ের প্রায় হাত মেলানো দূরত্বে যাওয়ার রেকর্ড কিন্তু ছিল। ভাগ্য সহায় থাকলে আর নির্ভুল ও নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং হলে হয়ত ২০০৩ সালে মুলতানেই পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব হতো। এছাড়া ২০১৫ সালে খুলনায় তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসের অসামান্য ও অনমনীয় দৃঢ়তায় ৫ দিন লড়াই করে কৃতিত্বপূর্ণ টেস্ট ড্র করার রেকর্ডও আছে টাইগারদের।

কিন্তু ভারতের সাথে ওসব কিছুই নেই। জয়তো অলিক কল্পনা। এখন পর্যন্ত ভারতের সাথে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য আর মাঠের পারফরমেন্স দিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করে ভারতের সাথে একটি টেস্টও ড্র করতে পারেনি বাংলাদেশ।

ইতিহাস জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৩ বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ১১ বারই জিতেছে ভারত। আর দুটি টেস্ট নিষ্ফলা থাকলেও সেগুলো বৃষ্টির কারণে এবং কাকতালীয়ভাবে দুটিই বাংলাদেশের মাটিতে।

প্রথম বৃষ্টির বাঁধায় বাংলাদেশ আর ভারতের টেস্ট ড্র হয় ২০০৭ সালে; চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রথম দু’দিন মোটামুটি ঠিকই ছিল ৯০+৯০ = ১৮০ ওভারের বদলে (৭৭ ও ৯৭) ১৭৪ ওভার খেলা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে পুরো তৃতীয়দিন ধুয়ে-মুছে যায়। পরের ২ দিনেও খেলা হয়েছে মোটে ৪২ ওভার।

এভাবেই ওই টেস্ট ড্র হয়। অথচ সেই সিরিজের অপর টেস্ট ভারত জিতে যায় ইনিংস ও ২৩৯ রানে। একইভাবে ২০১৫ সালেও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এক ম্যাচের টেস্ট বৃষ্টিতে চরমভাবে বিঘ্নিত হয়ে অমিমাংসিত থেকে যায়। সে ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ৫ দিনে ৪৫০ ওভারের বদলে অর্ধেকেরও কম মাত্র ১৮৩.৫ ওভার খেলা হয়েছিল।

ভারত যে ১১ টেস্ট জিতেছে, তার মধ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ১৩৮ রানে হারলেও শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ টেস্টে টাইগাররা প্রাণপন লড়াই করে জেতার সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। পরে হেরে গেছে ৩ উইকেটে।

ওদিকে ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে এর আগে ২ বার ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ওই দুইবারে তিন ম্যাচেই চরম ভরাডুবি হয়েছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে একমাত্র টেস্টে হায়দরাবাদে ২০৮ রানের বড় পরাজয় ছিল সঙ্গী। আর শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরে গিয়ে আবার নাকানি-চুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চরমভাবে পর্যদুস্ত হয়েছিল টাইগাররা। ইন্দোর ও কলকাতায় দুই টেস্টেই ইনিংসে (ইনিংস ও ১৩০ আর ইনিংস ও ৪৬ রানে) পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ।

এবার ৫ বছর পর আবার ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। কাল বৃহস্পতিবার থেকে চেন্নাইতে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। এবার ভারতের মাটিতে কি করবে শান্তর দল? আগের সেই না পারা ও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে কি এবার?

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ সেপ্টেম্বর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: