ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদারি চান ড. ইউনূস

  • পোস্ট হয়েছে : ৪ ঘন্টা আগে
  • 16

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অংশীদারি চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বহুমুখী সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সংলাপে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আপনাদের কথা শুনতে এসেছি এবং আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ কিভাবে আরো উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ চাই।

আমাদের এই নতুন যাত্রায় আপনাদের অংশীদারি চাই।’‘ইউএস-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের উদীয়মান বাজার নয়। এটি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ভোক্তা বাজারের একটি হিসেবে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনের ৩০০ কোটি মানুষের বাজার ধরার সম্ভাবনাময় জায়গায় রয়েছে।’জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো দেশই সমস্যামুক্ত নয়। বাংলাদেশও সমস্যামুক্ত নয়। তবে আমি একটি বিকাশমান বাংলাদেশ দেখি, যে দেশটি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন তার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অধীনে সরবরাহ কাঠামো বৈচিত্র্যকরণের দিকে নজর দিচ্ছে, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে সেই লক্ষ্য পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠার উপযুক্ত। আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সরবরাহ কাঠামো বৈচিত্র্যকরণে আমরা সব কিছু করব।’

ড. ইউনূস আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান রপ্তানির দেশ এবং আমাদের বিদেশি বিনিয়োগে শীর্ষ উৎস। কিন্তু বাণিজ্য অস্বাভাবিক রকমের কম।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি জানি, আপনাদের কিছু কম্পানি মুনাফা দেশে ফেরত পাঠাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। স্পষ্টভাবে বললে, কয়েক বছর ধরে আমরা একটি বৈদেশিক হিসাব ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই পরিস্থিতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের সরকার এখন এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর হ্রাস না পায়।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএসবিবিসির সভাপতি অতুল কেশাপ বক্তব্য দেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ সেপ্টেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন ব্যবসায়ীদের অংশীদারি চান ড. ইউনূস

পোস্ট হয়েছে : ৪ ঘন্টা আগে

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের অংশীদারি চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বহুমুখী সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সংলাপে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আপনাদের কথা শুনতে এসেছি এবং আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ কিভাবে আরো উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ চাই।

আমাদের এই নতুন যাত্রায় আপনাদের অংশীদারি চাই।’‘ইউএস-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের উদীয়মান বাজার নয়। এটি বিশ্বের শীর্ষ ১০টি ভোক্তা বাজারের একটি হিসেবে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীনের ৩০০ কোটি মানুষের বাজার ধরার সম্ভাবনাময় জায়গায় রয়েছে।’জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো দেশই সমস্যামুক্ত নয়। বাংলাদেশও সমস্যামুক্ত নয়। তবে আমি একটি বিকাশমান বাংলাদেশ দেখি, যে দেশটি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন তার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অধীনে সরবরাহ কাঠামো বৈচিত্র্যকরণের দিকে নজর দিচ্ছে, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে সেই লক্ষ্য পূরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠার উপযুক্ত। আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সরবরাহ কাঠামো বৈচিত্র্যকরণে আমরা সব কিছু করব।’

ড. ইউনূস আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান রপ্তানির দেশ এবং আমাদের বিদেশি বিনিয়োগে শীর্ষ উৎস। কিন্তু বাণিজ্য অস্বাভাবিক রকমের কম।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি জানি, আপনাদের কিছু কম্পানি মুনাফা দেশে ফেরত পাঠাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। স্পষ্টভাবে বললে, কয়েক বছর ধরে আমরা একটি বৈদেশিক হিসাব ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছি। এই পরিস্থিতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার হওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের সরকার এখন এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর হ্রাস না পায়।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএসবিবিসির সভাপতি অতুল কেশাপ বক্তব্য দেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৭ সেপ্টেম্বর / রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: