ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোখের পাতা কেঁপে ওঠা সত্যিই কি খারাপ লক্ষণ?

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 95

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই চোখের পাতা কেঁপে ওঠে অনেকেরই। একে বেশিরভাগ মানুষই চোখ লাফানো বলেন। এই অনুভূতির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। আবার চোখের পাতা কেঁপে ওঠার সমস্যাকে অনেকেই অশুভ বা খারাপ কোনো লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে?

এই ঘটনা তখনই ঘটে যখন চোখের পেশি বা পাতার খিঁচুনি বা নড়াচড়া করে। যা চাইলেও আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ব্লেফারোস্পাজম বলা হয়। এটি মূলত উপরের চোখের পাতায় ঘটে। তাও আবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা কেঁপে ওঠে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০০০ মানুষ এই সমস্যায় গুরুতরভাবে ভোগেন। পুরুষদের তুলনায় নারীদের চোখে এটি বেশি ঘটে। এটি যদিও কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে এ সমস্যা বিরক্তির কারণ হতে পারে। আবার কখনো কখনো ব্লেফারোস্পাজম চোখের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।

কেন চোখের পাতা কাঁপে?

সাধারণত তিনটি কারণে যেমন- ক্লান্তি, চাপ বা ক্যাফেইন গ্রহণের কারণে চোখ লাফানোর সমস্যা হতে পারে। গবেষকদের মতে, আপনার জিন ও চারপাশের পরিবেশের কারণেই এ সমস্যাটি হয়।

চোখের পাতা কেঁপে ওঠা মুখ ও আপনার চোখের পাতার চারপাশের পেশির সঙ্গেও জড়িত। এছাড়া আরও বেশ কিছু কারণেও চোখের পাতা কেঁপে উঠতে পারে। যেমন-

ক্লান্তি
মানসিক চাপ
ক্যাফেইন
অ্যালকোহল গ্রহণ
ধূমপান
চোখের সংবেদনশীলতা ও
কিছু ওষুধ, যেগুলো সাইকোসিস ও মৃগী রোগের চিকিৎসা করে।

আবার মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধির কারণেও চোখের পাতা লাফাতে পারে। এর মধ্যে আছে-

পারকিনসন রোগ
মস্তিষ্কের ক্ষত
একাধিক স্ক্লেরোসিস
পক্ষাঘাত
ট্যুরেটের সিন্ড্রোম ও
ডাইস্টোনিয়া।

ব্লেফারোস্পাজমের চিকিৎসা কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা হঠাৎ করেই হয় আবার নিজ থেকেই সেরে যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অ্যালকোহল, তামাক বা ক্যাফেইন কমালে এ সমস্যাও কমতে শুরু করে। যদি শুষ্ক চোখের কারণে এ সমস্যাটি হয় তাহলে চিকিৎসক আই ড্রপ দেন।

ব্লেফারোস্পাজম নামক এ সমস্যার কোনো প্রতিকার নেই। তবে চিকিৎসক আপনার উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারেন। এর সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা হলো বোটুলিনাম টক্সিন (বোটক্স , ডিসপোর্ট, জেওমিন)।

তবে চোখ লাফানোর সঙ্গে কোনো অশুভ ইঙ্গিত কিংবা খারাপ কিছু ঘটার বিষয়গুলো একেবারেই কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু না। তাই এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: ওয়েবএমডি

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চোখের পাতা কেঁপে ওঠা সত্যিই কি খারাপ লক্ষণ?

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: হঠাৎ করেই চোখের পাতা কেঁপে ওঠে অনেকেরই। একে বেশিরভাগ মানুষই চোখ লাফানো বলেন। এই অনুভূতির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। আবার চোখের পাতা কেঁপে ওঠার সমস্যাকে অনেকেই অশুভ বা খারাপ কোনো লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে?

এই ঘটনা তখনই ঘটে যখন চোখের পেশি বা পাতার খিঁচুনি বা নড়াচড়া করে। যা চাইলেও আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ব্লেফারোস্পাজম বলা হয়। এটি মূলত উপরের চোখের পাতায় ঘটে। তাও আবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা কেঁপে ওঠে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০০০ মানুষ এই সমস্যায় গুরুতরভাবে ভোগেন। পুরুষদের তুলনায় নারীদের চোখে এটি বেশি ঘটে। এটি যদিও কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে এ সমস্যা বিরক্তির কারণ হতে পারে। আবার কখনো কখনো ব্লেফারোস্পাজম চোখের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।

কেন চোখের পাতা কাঁপে?

সাধারণত তিনটি কারণে যেমন- ক্লান্তি, চাপ বা ক্যাফেইন গ্রহণের কারণে চোখ লাফানোর সমস্যা হতে পারে। গবেষকদের মতে, আপনার জিন ও চারপাশের পরিবেশের কারণেই এ সমস্যাটি হয়।

চোখের পাতা কেঁপে ওঠা মুখ ও আপনার চোখের পাতার চারপাশের পেশির সঙ্গেও জড়িত। এছাড়া আরও বেশ কিছু কারণেও চোখের পাতা কেঁপে উঠতে পারে। যেমন-

ক্লান্তি
মানসিক চাপ
ক্যাফেইন
অ্যালকোহল গ্রহণ
ধূমপান
চোখের সংবেদনশীলতা ও
কিছু ওষুধ, যেগুলো সাইকোসিস ও মৃগী রোগের চিকিৎসা করে।

আবার মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধির কারণেও চোখের পাতা লাফাতে পারে। এর মধ্যে আছে-

পারকিনসন রোগ
মস্তিষ্কের ক্ষত
একাধিক স্ক্লেরোসিস
পক্ষাঘাত
ট্যুরেটের সিন্ড্রোম ও
ডাইস্টোনিয়া।

ব্লেফারোস্পাজমের চিকিৎসা কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা হঠাৎ করেই হয় আবার নিজ থেকেই সেরে যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অ্যালকোহল, তামাক বা ক্যাফেইন কমালে এ সমস্যাও কমতে শুরু করে। যদি শুষ্ক চোখের কারণে এ সমস্যাটি হয় তাহলে চিকিৎসক আই ড্রপ দেন।

ব্লেফারোস্পাজম নামক এ সমস্যার কোনো প্রতিকার নেই। তবে চিকিৎসক আপনার উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারেন। এর সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা হলো বোটুলিনাম টক্সিন (বোটক্স , ডিসপোর্ট, জেওমিন)।

তবে চোখ লাফানোর সঙ্গে কোনো অশুভ ইঙ্গিত কিংবা খারাপ কিছু ঘটার বিষয়গুলো একেবারেই কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু না। তাই এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: ওয়েবএমডি

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ অক্টোবর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: