ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাব্যতা সংকট : পদ্মা সেতুতে আজ বসছে না ৩৫তম স্প্যান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
  • 47

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নদীতে নাব্যতা-সংকটের কারণে পদ্মা সেতুতে আজ (৩০ অক্টোবর) ৩৫তম স্প্যানটি বসানো হচ্ছে না। কবে নাগাদ এটি বসানো হতে পারে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু বলতে পারছেন।

সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, যে স্থানে স্প্যানটি বসানো হবে সেখানে এখন পানির গভীরতা অনেক কম। স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি সেখানে পৌঁছাতে পারবে না।

তারা আরো জানিয়েছেন, আপাতত ড্রেজিং করে পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ চলছে। ফলে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না ৩৫তম স্প্যানটি কবে সেতুতে বসানো যাবে। অবশ্য এই প্রকৌশলী আগামী রবিবারের মধ্যে স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। আজ এই স্প্যান বসানোর দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পিলারের কাছে নাব্যতা সংকট নিরসন না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আগামীকাল শনিবার ও পরশু রোববার স্প্যান বসানোর দিন ঠিক করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত গভীরতা না ফিরলে আরও সময় লাগতে পরে বলে জানানো হয়েছে।

স্প্যান ‘টু-বি’ বসানো গেলে সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ৩৫তম স্প্যান বসানো হলে বাকি থাকবে ছয়টি স্প্যান। চলতি অক্টোবর মাসে তিনটি স্প্যান বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর বাকি আছে ৭টি স্প্যান বসানোর কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সব স্প্যান সেতুতে বসানোর কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কিছুদিন আগেও ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের কাছে পানির গভীরতা ছিল ১৩০ ফুটের বেশি। কিন্তু, বর্তমানে পানি আছে প্রায় সাত ফুট। এমন পরিস্থিতি থাকলে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে না। এর জন্য সেখানে খনন করে পলি অপসারণের কাজ চলছে। পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্প্যান বসানোর জন্য এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি।’

তিনি আরো জানান, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ অবস্থান করছে। এতে ফিটিং করা হচ্ছে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে। রওয়ানা দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বিজনেস আওয়ার/৩০ অক্টোবর, ২০২০/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নাব্যতা সংকট : পদ্মা সেতুতে আজ বসছে না ৩৫তম স্প্যান

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নদীতে নাব্যতা-সংকটের কারণে পদ্মা সেতুতে আজ (৩০ অক্টোবর) ৩৫তম স্প্যানটি বসানো হচ্ছে না। কবে নাগাদ এটি বসানো হতে পারে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু বলতে পারছেন।

সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, যে স্থানে স্প্যানটি বসানো হবে সেখানে এখন পানির গভীরতা অনেক কম। স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি সেখানে পৌঁছাতে পারবে না।

তারা আরো জানিয়েছেন, আপাতত ড্রেজিং করে পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর কাজ চলছে। ফলে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না ৩৫তম স্প্যানটি কবে সেতুতে বসানো যাবে। অবশ্য এই প্রকৌশলী আগামী রবিবারের মধ্যে স্প্যানটি বসানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৮ ও ৯ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। আজ এই স্প্যান বসানোর দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পিলারের কাছে নাব্যতা সংকট নিরসন না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আগামীকাল শনিবার ও পরশু রোববার স্প্যান বসানোর দিন ঠিক করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত গভীরতা না ফিরলে আরও সময় লাগতে পরে বলে জানানো হয়েছে।

স্প্যান ‘টু-বি’ বসানো গেলে সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ৩৫তম স্প্যান বসানো হলে বাকি থাকবে ছয়টি স্প্যান। চলতি অক্টোবর মাসে তিনটি স্প্যান বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর বাকি আছে ৭টি স্প্যান বসানোর কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে সব স্প্যান সেতুতে বসানোর কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কিছুদিন আগেও ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের কাছে পানির গভীরতা ছিল ১৩০ ফুটের বেশি। কিন্তু, বর্তমানে পানি আছে প্রায় সাত ফুট। এমন পরিস্থিতি থাকলে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে না। এর জন্য সেখানে খনন করে পলি অপসারণের কাজ চলছে। পলি সরিয়ে নাব্যতা বাড়ানোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্প্যান বসানোর জন্য এখনো তারিখ নির্ধারণ হয়নি।’

তিনি আরো জানান, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ অবস্থান করছে। এতে ফিটিং করা হচ্ছে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে। রওয়ানা দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

বিজনেস আওয়ার/৩০ অক্টোবর, ২০২০/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: