ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ম রক্ষার ম্যাচে রিয়াদের বিদায় রাঙাতে পারবেন সতীর্থরা?

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 20

স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ে যদি সিরিজ জয়ই মানদণ্ড হয়, তাহলে আজ হায়দরাবাদের ম্যাচটি শুধুই নিয়ম রক্ষার। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি যে আগেই হেরে বসে আছে বাংলাদেশ দল। সেই অর্থে আজকের ম্যাচটি ভারতের কাছে যেখানে বেঞ্চের শক্তি ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ, সেখানে সফরকারীদের চোখ অধরা জয়ের খোঁজে। স্বাগতিকদের কাছে গুরুত্ব হারানো ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরো একটি কারণে।

এই ম্যাচ খেলেই যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির যাত্রা থামিয়ে দিচ্ছেন মাহমুদ উল্লাহ। ঘটনাবহুল ক্যারিয়ারে দেশকে অনেক অর্জন উপহার দেওয়া অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের বিদায় কি জয়ে রাঙাতে পারবে বাংলাদেশ? সেই কৌতূহল আপাতত তুলে রাখতে হচ্ছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস মাহমুদের বিদায় নিয়ে টুঁ শব্দটি করতে চাইলেন না। জয়ের ভাবনার প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমরা সব সময়ই জিততে চাই।

’ কিন্তু ভারতের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে চাওয়া-পাওয়ার ফারাক কতখানি, তা-ও জানা আছে তাঁর, ‘আমাদের বাস্তবিকভাবেও চিন্তা করতে হবে। ভারতে অনেক দলই এসে বাজে সময় কাটিয়ে যায়। এখানে অনেক কিছু শেখা হয়েছে আমাদের। যা শিখবেন, সেটাই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ভারত আপনাকে জানিয়ে দেবে, কোথায় উন্নতি করতে হবে।’দুই টেস্টে শোচনীয় হারের পর টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। এই সংস্করণে আগের দুই ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের মূলে রয়েছে ব্যাটিং বিভাগ। প্রতিপক্ষ যেখানে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রদর্শনীতে চার-ছক্কার সয়লাবে স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় তুলছে, সেখানে দুই ম্যাচের একটিতেও ১৪০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি নাজমুল হোসেনরা। আরেকটি ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে অসহায়ত্ব দলের সহকারী কোচের কণ্ঠে, ‘আসলে আমি জানি, লোকে অনেক কিছুই প্রত্যাশা করে।

কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমাদের নিজস্ব মানদণ্ড আছে।’নিজেই দেখালেন এই মানদণ্ডের পার্থক্য, ‘আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। এটা দুনিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। আইপিএল খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য তৈরি করে দেয়।’ এ জন্য ভারত সফরে ফলাফলের চেয়ে শেখায় বেশি মনোযোগ বাংলাদেশের।

এই শিক্ষায়ও আছে প্রতিবন্ধকতা। অভিষেক শর্মা, নীতীশ রেড্ডিদের মতো তরুণরা যেখানে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো অভিজ্ঞদের তোয়াক্কা করছেন না এবং বলকে অবলীলায় বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলছেন, সেখানে লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়রা উড়িয়ে মারতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে আসছেন। এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে দিশাহারা পোথাস, ‘এখানে টাইমিংয়ের ব্যাপার আছে, টেকনিক আছে। এসব নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু প্রকৃতিগত বিষয়গুলো নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারবেন না।’

এভাবে শিখতে শিখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছর পার করে দেওয়া মাহমুদ আজ নিজের যাত্রা থামিয়ে দিচ্ছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় কখনো চলেছেন, কখনো হোঁচট খেয়েছেন, নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন মাহমুদ। মাহমুদের মতো করেই তাঁর বিদায়ি ম্যাচে ফিরে আসার কোনো নজির রাখতে পারবে বাংলাদেশ?

বিজনেস আওয়ার/ ১২ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিয়ম রক্ষার ম্যাচে রিয়াদের বিদায় রাঙাতে পারবেন সতীর্থরা?

পোস্ট হয়েছে : ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ে যদি সিরিজ জয়ই মানদণ্ড হয়, তাহলে আজ হায়দরাবাদের ম্যাচটি শুধুই নিয়ম রক্ষার। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি যে আগেই হেরে বসে আছে বাংলাদেশ দল। সেই অর্থে আজকের ম্যাচটি ভারতের কাছে যেখানে বেঞ্চের শক্তি ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ, সেখানে সফরকারীদের চোখ অধরা জয়ের খোঁজে। স্বাগতিকদের কাছে গুরুত্ব হারানো ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছে মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরো একটি কারণে।

এই ম্যাচ খেলেই যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির যাত্রা থামিয়ে দিচ্ছেন মাহমুদ উল্লাহ। ঘটনাবহুল ক্যারিয়ারে দেশকে অনেক অর্জন উপহার দেওয়া অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের বিদায় কি জয়ে রাঙাতে পারবে বাংলাদেশ? সেই কৌতূহল আপাতত তুলে রাখতে হচ্ছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস মাহমুদের বিদায় নিয়ে টুঁ শব্দটি করতে চাইলেন না। জয়ের ভাবনার প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমরা সব সময়ই জিততে চাই।

’ কিন্তু ভারতের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে চাওয়া-পাওয়ার ফারাক কতখানি, তা-ও জানা আছে তাঁর, ‘আমাদের বাস্তবিকভাবেও চিন্তা করতে হবে। ভারতে অনেক দলই এসে বাজে সময় কাটিয়ে যায়। এখানে অনেক কিছু শেখা হয়েছে আমাদের। যা শিখবেন, সেটাই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ভারত আপনাকে জানিয়ে দেবে, কোথায় উন্নতি করতে হবে।’দুই টেস্টে শোচনীয় হারের পর টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের সামনে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। এই সংস্করণে আগের দুই ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের মূলে রয়েছে ব্যাটিং বিভাগ। প্রতিপক্ষ যেখানে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রদর্শনীতে চার-ছক্কার সয়লাবে স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় তুলছে, সেখানে দুই ম্যাচের একটিতেও ১৪০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি নাজমুল হোসেনরা। আরেকটি ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে অসহায়ত্ব দলের সহকারী কোচের কণ্ঠে, ‘আসলে আমি জানি, লোকে অনেক কিছুই প্রত্যাশা করে।

কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, আমাদের নিজস্ব মানদণ্ড আছে।’নিজেই দেখালেন এই মানদণ্ডের পার্থক্য, ‘আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। এটা দুনিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। আইপিএল খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য তৈরি করে দেয়।’ এ জন্য ভারত সফরে ফলাফলের চেয়ে শেখায় বেশি মনোযোগ বাংলাদেশের।

এই শিক্ষায়ও আছে প্রতিবন্ধকতা। অভিষেক শর্মা, নীতীশ রেড্ডিদের মতো তরুণরা যেখানে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো অভিজ্ঞদের তোয়াক্কা করছেন না এবং বলকে অবলীলায় বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলছেন, সেখানে লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়রা উড়িয়ে মারতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে আসছেন। এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে দিশাহারা পোথাস, ‘এখানে টাইমিংয়ের ব্যাপার আছে, টেকনিক আছে। এসব নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু প্রকৃতিগত বিষয়গুলো নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারবেন না।’

এভাবে শিখতে শিখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭ বছর পার করে দেওয়া মাহমুদ আজ নিজের যাত্রা থামিয়ে দিচ্ছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় কখনো চলেছেন, কখনো হোঁচট খেয়েছেন, নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন মাহমুদ। মাহমুদের মতো করেই তাঁর বিদায়ি ম্যাচে ফিরে আসার কোনো নজির রাখতে পারবে বাংলাদেশ?

বিজনেস আওয়ার/ ১২ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: