ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেরার অপেক্ষায় ববিতা

  • পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে
  • 4

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ববিতা। অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দেয়া একসময়ের পর্দা কাঁপানো এই প্রবীন অভিনেত্রী প্রায় দশ বছর যাবৎ নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না। অস্কারজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিকার সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ সিনেমার অনঙ্গ বউ ববিতাকে নিয়ে সর্বশেষ নারগিস আক্তার ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার পর আর নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে।

অবশ্য এরপর অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতাই তার কাছে গিয়েছেন, সিনেমার গল্প শুনিয়েছেন। কিন্তু ববিতার গল্প ভালো লাগেনি। ববিতা আবার যদি কখনো সিনেমায় অভিনয়ে ফেরেন, তবে একেবারেই মৌলিক একটি গল্পের সিনেমায় অভিনয় করবেন।গত এক দশকে তার কাছে অনেক সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা এসেছেন।

সেগুলো শুনেছেন তিনি। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে এ অভিনেত্রী অবস্থান করছেন কানাডায়। সেখান থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গত প্রায় দশ বছরে অনেক নির্মাতাই গল্প শুনিয়েছেন।

কিন্তু কারো গল্পই আসলে আমার মন ছুঁয়ে যায়নি, যাতে আমি অভিনয় করার আগ্রহ পাব। এটাও সত্যি, আমার এখনো সিনেমায় অভিনয় করার আগ্রহ আছে। কারণ, আমি মনেপ্রাণে একজন চলচ্চিত্রাভিনেত্রী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি অভিনয়ই করে যেতে চাই। কিন্তু বিগত দশ বছরে একটি ভালো গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ এলো না আমার।

এখনো প্রতীক্ষায় আছি, হয়তো একটি খুব ভালো মৌলিক গল্প আমার কাছে আসবে।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পাশের দেশের (ভারত) দিকে তাকালেই দেখা যায়, এখনো তাদের দেশের কিংবদন্তি অভিন শিল্পীদের কেন্দ্র করেই গল্প এগিয়ে যায়, সিনেমা নির্মিত হয়। গল্পের কারণেই সেই শিল্পী সিনেমার প্রাণ হয়ে ওঠেন। আর যারা তরুণ শিল্পী থাকেন তারা সেই শিল্পীর পাশে অভিনয় করে সিনেমাটিকে আরও অলংকৃত করে তোলেন। তারা প্রবল আগ্রহ নিয়ে কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয় করেন। আমরা তা পর্দায় প্রাণভরে উপভোগ করি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো এ ধরনের সিনেমা নির্মাণে সাহস পান না নির্মাতারা।’

চলচ্চিত্রে সিনিয়র শিল্পীদের কাজে লাগানো প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে এখনো ভালো ভালো গল্পের সিনেমা হতে পারে। অথচ তাদের অনেকেই আমারই মতো বহু বছর ধরে সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। আমরা আমাদের অভিজ্ঞ শিল্পীদের কাজে লাগাতে পারছি না। তাই আমার এ সময়ে এসে আফসোস হয়, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একটি ভালো মৌলিক গল্প পেলাম না যাতে আমি মন-প্রাণ দিয়ে নিজেকে পূর্ণ নিবেদিত করে অনেক কষ্ট করে অভিনয় করতে পারি। হয়তো সেই সময় আসবে, জানি না তা কবে।’

১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন ববিতা। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ফেরার অপেক্ষায় ববিতা

পোস্ট হয়েছে : ১১ মিনিট আগে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ববিতা। অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দেয়া একসময়ের পর্দা কাঁপানো এই প্রবীন অভিনেত্রী প্রায় দশ বছর যাবৎ নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না। অস্কারজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিকার সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনিসংকেত’ সিনেমার অনঙ্গ বউ ববিতাকে নিয়ে সর্বশেষ নারগিস আক্তার ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার পর আর নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে।

অবশ্য এরপর অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতাই তার কাছে গিয়েছেন, সিনেমার গল্প শুনিয়েছেন। কিন্তু ববিতার গল্প ভালো লাগেনি। ববিতা আবার যদি কখনো সিনেমায় অভিনয়ে ফেরেন, তবে একেবারেই মৌলিক একটি গল্পের সিনেমায় অভিনয় করবেন।গত এক দশকে তার কাছে অনেক সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা এসেছেন।

সেগুলো শুনেছেন তিনি। কিন্তু পছন্দ না হওয়ায় সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে এ অভিনেত্রী অবস্থান করছেন কানাডায়। সেখান থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘গত প্রায় দশ বছরে অনেক নির্মাতাই গল্প শুনিয়েছেন।

কিন্তু কারো গল্পই আসলে আমার মন ছুঁয়ে যায়নি, যাতে আমি অভিনয় করার আগ্রহ পাব। এটাও সত্যি, আমার এখনো সিনেমায় অভিনয় করার আগ্রহ আছে। কারণ, আমি মনেপ্রাণে একজন চলচ্চিত্রাভিনেত্রী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি অভিনয়ই করে যেতে চাই। কিন্তু বিগত দশ বছরে একটি ভালো গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ এলো না আমার।

এখনো প্রতীক্ষায় আছি, হয়তো একটি খুব ভালো মৌলিক গল্প আমার কাছে আসবে।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পাশের দেশের (ভারত) দিকে তাকালেই দেখা যায়, এখনো তাদের দেশের কিংবদন্তি অভিন শিল্পীদের কেন্দ্র করেই গল্প এগিয়ে যায়, সিনেমা নির্মিত হয়। গল্পের কারণেই সেই শিল্পী সিনেমার প্রাণ হয়ে ওঠেন। আর যারা তরুণ শিল্পী থাকেন তারা সেই শিল্পীর পাশে অভিনয় করে সিনেমাটিকে আরও অলংকৃত করে তোলেন। তারা প্রবল আগ্রহ নিয়ে কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয় করেন। আমরা তা পর্দায় প্রাণভরে উপভোগ করি। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো এ ধরনের সিনেমা নির্মাণে সাহস পান না নির্মাতারা।’

চলচ্চিত্রে সিনিয়র শিল্পীদের কাজে লাগানো প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে এখনো ভালো ভালো গল্পের সিনেমা হতে পারে। অথচ তাদের অনেকেই আমারই মতো বহু বছর ধরে সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। আমরা আমাদের অভিজ্ঞ শিল্পীদের কাজে লাগাতে পারছি না। তাই আমার এ সময়ে এসে আফসোস হয়, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একটি ভালো মৌলিক গল্প পেলাম না যাতে আমি মন-প্রাণ দিয়ে নিজেকে পূর্ণ নিবেদিত করে অনেক কষ্ট করে অভিনয় করতে পারি। হয়তো সেই সময় আসবে, জানি না তা কবে।’

১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন ববিতা। ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ অক্টোবর / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: