বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: কানাডায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিককে সে দেশের একটি তদন্তে পার্সন অব ইন্টারেস্ট বা সন্দেহভাজন হিসাবে ঘোষণা করার পরে দুই দেশের সম্পর্কের তীব্র অবনতির স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
কোন মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ, সেটা স্পষ্ট না–করা হলেও গত বছরের জুনে কানাডার নাগরিক ও শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার সঙ্গেই এটি সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত জানায়, রোববার (১৩ অক্টোবর) একটি ডিপ্লোম্যাটিক কমিউনিকেশন বা কূটনৈতিক বার্তার মাধ্যমে কানাডা সরকার তাদেরকে একথা জানিয়েছে।
এরপরই সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কানাডার বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছে, এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ভোটব্যাঙ্ক কেন্দ্রিক রাজনীতি ও পলিটিক্যাল এজেন্ডার অংশ বলেই তারা মনে করে।
দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার সর্বোচ্চ কূটনীতিবিদ বা চার্জ–দ্য–অ্যাফেয়ারকেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সোমবার সমন পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভারত অবশ্য এই অভিযোগ তখন থেকেই অস্বীকার করে এসেছে এবং দাবি করেছে, কানাডা সরকার তাদের সঙ্গে তদন্তের কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণই শেয়ার করেনি। কিন্তু কানাডা সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট, তারা সেই তদন্তে এখন আরও অনেকদূর এগিয়েছে এবং সরাসরি ভারতীয় কূটনীতিকরা ওই ঘটনায় যুক্ত বলে মনে করছে।
প্রসঙ্গত, কোনও ঘটনার তদন্তে পার্সন অব ইন্টারেস্ট তাদেরই বলা হয় যাদের তদন্তকারীরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করেন কিন্তু তখনও যাদের গ্রেফতার করা হয়নি।
বিজনেস আওয়ার/ ১৫ অক্টোবর / হাসান