স্পোর্টস ডেস্ক: ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে টেস্টের প্রথম দিনেই ১০৬ রানে সব উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্ত বাহিনী পুরো দিনের খেলা খেলতে পারেনি। তারা মাত্র ৪১.১ ওভার খেলতেই সব উইকেট হারায়।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরে-বাংলায় ব্যাটিংয়ে নেমেই উইয়ান মুল্ডারের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ৬ ওভার না যেতেই টাইগার তিন ব্যাটারকে একাই সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে একাদশে ফিরে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাদমান ইসলাম। উইয়ান মুল্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। ৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
এরপর দলীয় ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। মাত্র ৪ রান করে সেই মুল্ডারের বলেই কাইল ভেরেইনের হাতে ক্যাচ দেন সাবেক এই দলপতি। নাজমুল হোসেন শান্তও হাল ধরতে পারেননি। দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করলেও মুল্ডারের তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
বিপর্যয় সামলে নিতে জয়কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক। তবে রাবাদার গতির কাছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারও হার মানেন। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মুশির স্ট্যাম্প ভেঙে দেন রাবাদা। মুশফিককে ১১ রানে ফিরিয়ে দক্ষিণ কিছুক্ষণ পর লিটন দাসকেও ফেরান এই পেসার। লাঞ্চের আগে মিরাজকে ফেরান মহারাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেনি মিরাজ।
প্রথম সেশনে একপ্রান্ত আগলে রাখলেও দ্বিতীয় সেশনে আর উতরে যেতে পারেননি ওপেনার জয়। মধ্যাহ্নবিরতির পরই ফেরেন তিনি, ডেন পিটের বলে ৯৭ বলে ৩০ রান করে থামেন এই ওপেনার। জাকের আলীও পরের ওভারেই ফেরেন, ১৫ বলে ২ রান করেন তিনি।
তার বিদায়ে ৭৬ রানেই ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এতে ১০০ রানের আগেই অলআউটের শঙ্কা জেগেছিল। সেখানে প্রতিরোধ গড়েন তাইজুল ও নাঈম। তাদের ২৬ রানের জুটিতে একশ ছাড়ায় টাইগাররা। তবে দলীয় ১০২ রানে স্লিপে ভিয়ান মুল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৮ রান করে ফেরেন নাঈম।
আর শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তাইজুল। এতে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে লাল-সবুজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ওপেনার জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মুল্ডার, রাবাদা ও মহারাজ। অন্য উইকেটটি নেন ডেন পিটের।
বিজনেস আওয়ার/ ২১ অক্টোবর / রানা